এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের নাগরিকত্ব নিবন্ধন কর্মসূচি (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী গতকাল সোমবার কলকাতায় এ মন্তব্য করেছেন।

আসামের নাগরিকত্ব নিবন্ধনের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত খসড়া এই মাসের ৩০ তারিখে প্রকাশিত হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই চূড়ান্ত তালিকাতেও বহু নাগরিকের নাম বাদ পড়বে। এ নিয়ে আসামে উত্তেজনা রয়েছে।

তবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, এই তালিকা প্রকাশ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ, চূড়ান্ত হলেও এটি খসড়া তালিকা। যাঁদের নাম বাদ পড়বে, তাঁরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।

এনআরসি নিয়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছেন, এ নিয়ে ভারত সরকার কোনো পর্যায়ে কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করেনি। অতএব এটা পুরোপুরিই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের বলার কিছু নেই। বিষয়টি তখনই দ্বিপক্ষীয় হবে, ভারত সরকার যদি এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে। হাইকমিশনার অবশ্য বলেন, নাগরিকত্ব নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন মনোভাবের কথা তাঁরা জানেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও তাঁরা দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি, সর্বস্তরে শুভবুদ্ধির বিকাশ ঘটবে।’

আসাম ভারতের একমাত্র রাজ্য, যেখানে নাগরিকত্ব নিবন্ধন রয়েছে। এটা প্রথম তৈরি করা হয়েছিল ১৯৫১ সালে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সম্প্রতি দিল্লি এসেছিলেন। সফরের সময় তিনিও জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধন নিয়ে কোনো আশঙ্কার কারণ নেই। ৩০ তারিখ যে তালিকা প্রকাশ হবে, তা পুরোপুরি খসড়া। যাঁদের নাম বাদ পড়বে, তাঁদের আবেদনের সুযোগ থাকবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যাঁরা নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন না, তাঁরা অনাগরিক হিসেবে রাজ্যে থাকবেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।