দলের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চান না অ্যালবানিজ

অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: এএফপি
অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার ৪৬তম জাতীয় নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়। আগামীকাল শনিবার দেশটির পাঁচটি উপনির্বাচনের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই বারবার আলোচিত হচ্ছে। দল ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে—এটাই যেন অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনের মূল আলোচ্য বিষয়।

তবে এই দলীয় রেষারেষি থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্যতম নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। কয়েক দিন আগেও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা বিল শর্টেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হতো তাঁকে। নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অ্যালবানিজ নিশ্চিত করেছেন যে দলের নেতা বিল শর্টেনের সঙ্গে নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের নির্বাচনী এলাকা লংসম্যানের লেবার প্রতিনিধি সুজান ল্যাম্বের এক নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন অ্যালবানিজ। তিনি আরও জানিয়েছেন, দল ক্ষমতায় এলেও শর্টেনকেই দলীয় প্রধান হিসেবে দেখতে চান।

বিশ্লেষকদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাচনের ফলাফলে জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আভাস পাওয়া যায়। এই উপনির্বাচনে বর্তমান সরকারি দল লিবারেল পার্টির সঙ্গে হেরে গেলেও বিল শর্টেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়াবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যালবানিজ।

অ্যান্থনি অ্যালবানিজকে অস্ট্রেলিয়ার ‘জনগণের পছন্দ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। লেবার পার্টির সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অ্যালবানিজ। নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি কোনো কিছু নিয়ে ভাবি, তবে তা একটা জিনিসই। লেবার সরকারে একজন মন্ত্রী হওয়া। আমি প্রধানমন্ত্রী বিল শর্টেনের সঙ্গে এখানে একজন মন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসব।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান দুটি দল লিবারেল ও লেবার পার্টি। দুটি দলের মধ্যেই দলীয় নেতৃত্বে নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। অ্যালবানিজের শঙ্কা, দলের ভেতরে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের অবস্থান নড়বড়ে হতে পারে। তাই নেতৃত্বের বদলে দলীয় জয় নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এই নেতা।