সাবেক ফার্স্ট লেডিসহ ৮০০ জনকে সাধারণ ক্ষমা
আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট অ্যালাসান ওয়াতারা গতকাল সোমবার দেশটির প্রায় ৮০০ ব্যক্তির জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। সাধারণ ক্ষমা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক ফার্স্ট লেডি সিমোন বাগবোও রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে জাতীয় ঐক্যের অংশ হিসেবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন ওয়াতারা।
গত সপ্তাহে আইভরি কোস্টের সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে সিমোন বাগবোকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে দেওয়া খালাসের বিষয়টি বাতিল করেন।
সিমোন বাগবো দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লঁরা বাগবোর স্ত্রী। লঁরা বাগবো ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওয়াতারা জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, সাবেক ফার্স্ট লেডি সিমোন বাগবোকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে।
আইভরি কোস্টের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে এই ভাষণ দেন ওয়াতারা।
২০১০ সালে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আইভরি কোস্টে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াতারাকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ওয়াতারাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লঁরা বাগবো। এ নিয়ে ওয়াতারা ও বাগবোর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। এতে হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়। পরে লঁরা বাগবোকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ওয়াতারা।
লঁরা বাগবো সাত বছর ধরে হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) হেফাজতে আছেন। ২০১০ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৬ সাল থেকে আইসিসিতে লঁরা বাগবোর বিচার চলছে।
রাজনৈতিক সংঘাত চলাকালে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন করার দায়ে ২০১৫ সালে লঁরা বাগবোর স্ত্রী সিমোন বাগবোর ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কারাগারে এই সাজা ভোগ করে আসছেন তিনি।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লঁরা বাগবোকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে সিমোন বাগবোর বিরুদ্ধে।