অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা এই প্রথম আড়াই কোটি পেরোল

অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা এই প্রথম আড়াই কোটি পেরিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। মূলত অভিবাসী জনগোষ্ঠী বেড়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো আড়াই কোটিতে পৌঁছেছে জনসংখ্যা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তা দেশের জন্য কতটুকু ভালো হয়েছে, এ নিয়ে একটা বিতর্ক রয়েছে। সরকার বলছে, এখানে জনসংখ্যার বিন্যাসে সমস্যা রয়েছে।

জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সিডনি ও মেলবোর্নে। সরকার চাইছে এখান থেকে জনসংখ্যা অন্য শহরগুলোয় স্থানান্তরিত করতে। এই দুই শহরে মোট জনসংখ্যা দুই-পঞ্চমাংশ বসবাস করে।

অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ মানুষ বাস করে শহরে। অস্ট্রেলিয়ার মোট ভূমির ২০ শতাংশ মরুভূমি।

গত বছরের চেয়ে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় নতুন করে ৩ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। যার মধ্যে ৬২ শতাংশ অন্য দেশ থেকে আসা। এ ছাড়া স্বাভাবিক নিয়মে বেড়েছে (জন্ম-মৃত্যু) ৩৮ শতাংশ। অভিবাসীদের বেশির ভাগই এসেছে ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। মেলবোর্ন ও সিডনি শহর অভিবাসীদের সবচেয়ে পছন্দের লক্ষ্য।

এমনিতে অস্ট্রেলিয়ায় জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ১ শতাংশ। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোর মধ্যে লুক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড, ইসরায়েল ও তুরস্ক বাদে অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার বেশি। বিশ্বে জনসংখ্যার দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ৫৩। এ ছাড়া অর্থনৈতিক শক্তিতে দেশটির অবস্থান ১৩তম এবং আয়তনের দিক দিয়ে এর অবস্থান ষষ্ঠ। আয়তনে রাশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ব্রাজিলের পরে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান।

দেশটিতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে তিনজন করে লোক বাস করে। বিশ্বে প্রতি বর্গ কিলোমিটার সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে মরক্কোতে, ১৯ হাজার ৩৪৮ জন।