লাখের ঘর পেরিয়ে কোটিতে ফোর্ডের মাসত্যাং

প্রথম গাড়ি বাজারে ছাড়ার ১৪ বছর ফোর্ড মাসত্যাং টু কিং বাজারে ছাড়ে। বিশেষ এডিশনের এ গাড়িটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইঞ্জিন এবং নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ছবি: ফোর্ড
প্রথম গাড়ি বাজারে ছাড়ার ১৪ বছর ফোর্ড মাসত্যাং টু কিং বাজারে ছাড়ে। বিশেষ এডিশনের এ গাড়িটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইঞ্জিন এবং নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। ছবি: ফোর্ড

স্পোর্টস কারের জগৎ বদলে দেওয়ার অন্যতম একটি গাড়ি ফোর্ডের মাসত্যাং। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন কোম্পানি নিজেদের ১ কোটিতম মাসত্যাং গাড়ি তৈরি করেছে। দেশটি ডেট্রয়েটে কারখানায় কোটিতম গাড়িটি তৈরি হয়। সর্বশেষ এ গাড়িটি নাশকার মাসত্যাং। ৫৪ বছর আগে প্রথম মাসত্যাং গাড়ি তৈরি করে ফোর্ড। এরপর থেকে গাড়িটি মার্কিন সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। গাড়িগুলো চলচ্চিত্র এবং গানে হরহামেশাই ব্যবহার হয়েছে।

সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, এক কোটিতমর মাইলফলক পেরিয়ে যাওয়া উপলক্ষে ফোর্ডের সদর দপ্তর মিশিগানে বড়সড় পার্টির আয়োজন করে কোম্পানিটি। ১৯৬৪ সালে বাজারে আসার পর মাসত্যাং বিশ্বে ‘স্বাধীন গাড়ি’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়। শুধু মার্কিন তরুণেরাই নন, বিশ্বের অনেকেই এর প্রেমে পড়ে যান। এটি সাধারণ কোনো গাড়ি নয়। এটি একই সঙ্গে মাসল ও স্পোর্টস কার। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে আর কোনো পণ্য মাসত্যাংয়ের মতো এতটা ‘আমেরিকান’ হয়ে উঠতে পারেনি। মাসত্যাংয়ের প্রাথমিক নকশা করেন জন নাজ্জার, ফিলিপ টি ক্লার্ক এবং জোয় রোস। তিন বছর ধরে বিশ্বে দুই দরজার ম্যাসতাং স্পোর্টস কার বিক্রিতে শীর্ষে আছে ফোর্ড। ২০ থেকে ৫০ হাজার ডলারের মধ্য মাসত্যাং গাড়িগুলোর দাম।

১৯৯৪ সালে মাসত্যাং জিটি কূপেই গাড়িটি বাজারে ছাড়া হয়। এটিকে ওই সময় চতুর্থ প্রজন্মের গাড়ি বলা হতো। ছবি: ফোর্ড
১৯৯৪ সালে মাসত্যাং জিটি কূপেই গাড়িটি বাজারে ছাড়া হয়। এটিকে ওই সময় চতুর্থ প্রজন্মের গাড়ি বলা হতো। ছবি: ফোর্ড
ফোর্ড ১৯৬৪ সালে মাসত্যাং গাড়িকে প্রথম বিশ্বের সামনে নিয়ে আসে। বিশ্বের প্রথম দুই দরজার এই গাড়ি বেশ আরামদায়ক। ছবি: ফোর্ড
ফোর্ড ১৯৬৪ সালে মাসত্যাং গাড়িকে প্রথম বিশ্বের সামনে নিয়ে আসে। বিশ্বের প্রথম দুই দরজার এই গাড়ি বেশ আরামদায়ক। ছবি: ফোর্ড
১৯৮৭ সালে ফোর্ড বাজারে আনে মাসত্যাং জিটি। চাহিদার কথা বিবেচনা করে এর নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। গোটানো যায় এমন ছাদওয়ালা মাসত্যাং গাড়ির আকারেও একটু পরিবর্তন আনা হয়। ছবি: ফোর্ড
১৯৮৭ সালে ফোর্ড বাজারে আনে মাসত্যাং জিটি। চাহিদার কথা বিবেচনা করে এর নকশায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। গোটানো যায় এমন ছাদওয়ালা মাসত্যাং গাড়ির আকারেও একটু পরিবর্তন আনা হয়। ছবি: ফোর্ড
২০০৫ সালে মাসত্যাংয়ের জিটি কানর্ভাটাবল গাড়িটি ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক গাড়ির আদলে বানানো হয়। ছবি: ফোর্ড
২০০৫ সালে মাসত্যাংয়ের জিটি কানর্ভাটাবল গাড়িটি ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক গাড়ির আদলে বানানো হয়। ছবি: ফোর্ড
২০০৭ সালে মাসত্যাং এই গাড়িটি বাজারে ছাড়ে। ছবি: ফোর্ড
২০০৭ সালে মাসত্যাং এই গাড়িটি বাজারে ছাড়ে। ছবি: ফোর্ড
এ গাড়িটি এখনো বাজারে আসেনি। ২০১৯ সালে ফোর্ড মাসত্যাং বুলিট বাজারে ছাড়া হবে। ১৯৬৮ সালে ছবি ‘বুলিট’-এর নামেই এ গাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। এ ছবির অভিনেতা স্টিভ ম্যাক কুইন সবুজ রঙের গাড়ি চালিয়েছেন। ছবিতে দুই গাড়ির প্রতিযোগিতা দেখানো হয়। ছবি: ফোর্ড
এ গাড়িটি এখনো বাজারে আসেনি। ২০১৯ সালে ফোর্ড মাসত্যাং বুলিট বাজারে ছাড়া হবে। ১৯৬৮ সালে ছবি ‘বুলিট’-এর নামেই এ গাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। এ ছবির অভিনেতা স্টিভ ম্যাক কুইন সবুজ রঙের গাড়ি চালিয়েছেন। ছবিতে দুই গাড়ির প্রতিযোগিতা দেখানো হয়। ছবি: ফোর্ড
ফোর্ড জিটি-৫০০ নামে নতুন একটি গাড়ি মার্কিন কোম্পানিটি আগামী বছর বাজারে ছাড়তে চায়। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো মার্কিন অপর স্পোর্টস কার কোম্পানি শেভ্রোলেট ক্যামেরাও জেএডএলওয়ান এবং ডজ চ্যালেঞ্জার হ্যালকেটকে পেছনে ফেলা। ছবি: ফোর্ড
ফোর্ড জিটি-৫০০ নামে নতুন একটি গাড়ি মার্কিন কোম্পানিটি আগামী বছর বাজারে ছাড়তে চায়। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো মার্কিন অপর স্পোর্টস কার কোম্পানি শেভ্রোলেট ক্যামেরাও জেএডএলওয়ান এবং ডজ চ্যালেঞ্জার হ্যালকেটকে পেছনে ফেলা। ছবি: ফোর্ড
কনা ব্লু মাসত্যাং গাড়িটি এ বছরই বাজারে এসেছে। ছবি: ফোর্ড
কনা ব্লু মাসত্যাং গাড়িটি এ বছরই বাজারে এসেছে। ছবি: ফোর্ড