ওমর খালিদকে গুলি

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ওমর খালিদ। ছবি: পিটিআই
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ওমর খালিদ। ছবি: পিটিআই

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্রনেতা ওমর খালিদ আক্রান্ত হলেন। সংসদ ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রফি আহমেদ কিদোয়াই মার্গে আজ সোমবার দুপুরে অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বলে অভিযোগ। গুলি খালিদের গায়ে লাগেনি। তিনি অক্ষত আছেন। আততায়ীরা পালিয়ে যান। তবে তাঁরা রিভলবারটি ফেলে যান।

সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, রফি মার্গে অবস্থিত কনস্টিটিউশন ক্লাবে সোমবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন ওমর খালিদ। ‘ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট হেট’ নামের এক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘খফ সে আজাদি’। কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে একটি চায়ের দোকানের সামনে অন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা খালিদের দিকে দুই যুবক এগিয়ে আসেন। সাদা জামা পরা ওই যুবকেরা খালিদকে ধাক্কা দিতেই তিনি পড়ে যান। তখনই একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খালিদের সঙ্গীরা ধাওয়া করলে তাঁরা পালিয়ে যান। তবে রিভলবারটি ফেলে যান।

সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ অবশ্য জানাচ্ছে, দিল্লি পুলিশ তাদের বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে রিভলবার পাওয়া গেলেও কেউ গুলি ছোড়েনি। ঘটনাটি ঘটে বেলা আড়াইটায়।

এই অস্ত্র দিয়েই ওমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
এই অস্ত্র দিয়েই ওমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

ওমর খালিদ জেএনইউ থেকে ইতিহাসের এমএ। এরপর তিনি এমফিলও করেন। সম্প্রতি পিএইচডি পেপার জমা দিয়েছেন। আদিবাসী সমাজ নিয়ে তাঁর কাজ। গত জুনে প্রাণহানির আশঙ্কা করে দিল্লি পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশি প্রহরাও চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আক্রান্ত হলেন। এবং সেই সময়, স্বাধীনতা দিবস নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য গোটা দিল্লিতে যখন নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হয়েছে। ঘটনার পর ওমর খালিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গোটা দেশে একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কথা বলছে, তাকেই ভয় দেখানো হচ্ছে।’

জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কানহাইয়া কুমার ও আর এক নেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর সঙ্গে তিনি ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে সংসদ ভবন আক্রমণের হোতা আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে ‘ভারতবিরোধী’ স্লোগান দেওয়া হয়। এরপরই ওমর খালিদ, কানহাইয়া কুমার, অনির্বাণ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থী ছাত্র সমাজের আন্দোলন শুরু। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনে।