নারী সাংসদের হয়রানি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় তোলপাড়

এমা হুসার। সংগৃহীত
এমা হুসার। সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নারী সাংসদ এমা হুসারের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। গত মার্চ মাসে করা এ অভিযোগের কথা গত জুলাইয়ে প্রথম প্রকাশ পায়। এর পরপরই দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের লেবার পার্টির পক্ষে ব্যারিস্টার জন জোসেফ ভিলান এ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। অভিযোগে বলা হয়, এমা তাঁর সহকর্মীদের ওপর যৌন হয়রানি, খারাপ ব্যবহার, ভীতি প্রদর্শন এবং তার অফিসের কর্মচারীদের অপব্যবহার করেছেন। তবে কোনো অভিযোগেরই সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু এ ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতি অঙ্গন বেশ সরগরম ও তোলপাড় হয়েছে।

এ অভিযোগের রেশ ধরে সাংসদ এমা হুসার কিছুটা অভিমান করে পরবর্তী নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন। সবকিছু মিলে এসব অভিযোগের সত্যতা যাই হোক, অনেক রাজনীতিক ইতিমধ্যে এমার পক্ষ নিয়েছেন। এমনকি প্রতিপক্ষ লিবারেল পার্টির রাজনীতিবিদ সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী বার্নাবি জয়েস এমা হুসারকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, একজন রাজনীতিকের ব্যক্তিজীবন ও ব্যক্তিগত সময়ের পেছনে লাগা ঠিক নয়।

অন্যদিকে, জন জোসেফ এমার কর্মক্ষেত্রের প্রায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষাৎকার নেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কর্মীও রয়েছে। সকলের জবানবন্দির ভিত্তিতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ শব্দের প্রমাণাদি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোসেফ। জবানবন্দিতে এমার কর্মক্ষেত্রে গত দুই বছরের আচরণ সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। প্রাক্তন কর্মীরা এমার বিরুদ্ধে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। তবে অভিযোগের কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন সাংসদ এমা হুসার। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি কে এবং অফিসে কীভাবে কাজ করি অভিযোগগুলো তা কোনোভাবেই প্রতিফলন করে না।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে লেবার পার্টির স্বতন্ত্র তদন্তে এমা হুসারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনেও এমা অংশগ্রহণ করতে পারেন এ রকম চিন্তা চলছে এখন।