বিরোধী দল একজোট না হলে পুনরায় মোদিই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী জোট এককাট্টা না হলে পুনরায় নরেন্দ্র মোদিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। দেশটির প্রভাবশালী সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডে ‘মুড অব দ্য নেশন’ শিরোনামে দেশব্যাপী এ জরিপ চালায়।

‍২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের নিম্নকক্ষ লোকসভার পরবর্তী নির্বাচন। এ কক্ষের মোট আসন ৫৪৩টি, যার মধ্য দিয়ে দেশটির সরকার গঠন হয়ে থাকে।

ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষার ফলাফল বলছে, এই মুহূর্তে ভারতের লোকসভার ৫৪৩টি আসনে ভোট হলে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) জিতবে। আর এ জোটে তেমন কোনো হেভিয়েট প্রার্থী না থাকায় পুনরায় মোদিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি সমীক্ষায় এ তথ্যও উঠে আসে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোটের (ইউপিএ) অবস্থা যদি বর্তমানের মতোই থাকে, তাহলে ইউপিএর ভরাডুবি নিশ্চিত। তবে উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ও পশ্চিমবঙ্গের মমতার তৃণমূল কংগ্রেস যদি ইউপিএর সঙ্গে একজোট হয়ে নির্বাচনে লড়ে, সে ক্ষেত্রে এনডিএকে প্রচণ্ড চাপে রাখা যাবে। কারণ লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে উত্তর প্রদেশে রয়েছে ৮০টি আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি। উত্তর প্রদেশে এখন এসপি ও বিএসপি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

ইন্ডিয়া টু-ডের চলতি সংখ্যায় আরও বলা হয়, যদি এসপি, বিএসপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ইউপিএ নির্বাচনে লড়ে তবে তাদের ঝুলিতে আসবে মাত্র ১২২টি আসন। যদিও তা এ বছরের জানুয়ারি মাসে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত সমীক্ষার চেয়ে ২০টি বেশি। আর অন্যদিকে এনডিএ পাবে ২৮১টি আসন। বাকিরা পাবে ১৪০টি। এতে ভোটের হার হবে এনডিএ ৩৬ শতাংশ, ইউপিএ ৩১ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ৩৩ শতাংশ।

কিন্তু যদি ইউপিএ এসপি, বিএসপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়ে নির্বাচনে লড়ে তবে তারা ২৪২টি আসনে জিততে পারে। ফলে বেড়ে যাবে ইউপিএর ভোটের হার। তারা পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট আর এনডিএ পেতে পারে ৩৬ শতাংশ ভোট। এর ফলে ইউপিএর ভোট বাড়বে ২৩ শতাংশ।

আবার বাম দল সিপিএম, সিপিআই, ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি যদি ইউপিএর জোটে শামিল হয় তবে ইউপিএ জোটের ভোট আরও বাড়বে। ফলে এনডিএকে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে বিজেপি বিরোধী এই মহাজোট। আর যদি এই মহাজোট না হয়ে ইউপিএ এবং মমতার নেতৃত্বে অন্যান্যরা আলাদাভাবে লড়ে সে ক্ষেত্রে ‘নিশ্চিত জিতবে’ এনডিএ। ফলে মোদিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।

এই সমীক্ষায় এ কথাও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তায় এখনো শীর্ষে মোদি। মোদির যেখানে জনপ্রিয়তার হার রয়েছে ৪৯ শতাংশ সেখানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তার হার মাত্র ২৭ শতাংশ। পাশাপাশি এনডিএ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো এখন পর্যন্ত একমাত্র নরেন্দ্র মোদি থাকলেও বিরোধী মহাজোটের এই পদে রয়েছেন অনেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মায়াবতী, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব, শারদ পাওয়াররের মতো নেতারা।