পুলিশপুত্রের কাণ্ড!

স্থিরচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে নেওয়া
স্থিরচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে নেওয়া

ভিডিওটি টুইটারে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল, এরপর সংবাদমাধ্যম—এখন ভারতজুড়ে তোলপাড়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত তরুণের নাম রোহিত সিং টোমার। তিনি দিল্লি পুলিশের মাদক বিভাগের এক কর্মকর্তার ছেলে। আজ শুক্রবার ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২ সেপ্টেম্বর থেকে টুইটারে একটি ভিডিও বেশ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, যাতে দেখা যায়, দিল্লির এক অফিসে এক তরুণ এক তরুণীকে চুল ধরে মেঝেতে ফেলে দিচ্ছেন। সেখান থেকে আবার চুলের মুঠি ধরে চারদিকে টানাহ্যাঁচড়া করছেন। সঙ্গে উপর্যুপরি হাঁটু ও কনুইয়ের আঘাত। তরুণী মেঝে থেকে উঠে দাঁড়াতে চাইলে সজোরে লাথি মেরে আবার তাঁকে নিচে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চড়-থাপ্পড়ের সঙ্গে চলে গালমন্দ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরও কেউ পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ করেননি। কিন্তু যিনি প্রথম পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি অভিযুক্ত তরুণের বাগ্‌দত্তা। আর কদিন পরই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

বাগ্‌দত্তা ওই তরুণী গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি এভাবে নারীদের নির্যাতন করতে পারেন, তাঁর সঙ্গে আমার বিয়ে হতে পারে না।’

এদিকে আজ শুক্রবার সংশ্লিষ্ট ভিডিওতে যে তরুণীকে নির্যাতন করতে দেখা যায় তিনি দিল্লি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ওই তরুণী বলেন, ঘটনার দিন রোহিত তাঁকে তাঁর বন্ধুর অফিসে ডেকে নেন। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাঁকে এভাবে মারধর করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটি ধারণ করেছেন রোহিতের এক বন্ধু। ওই বন্ধুর অফিসেই এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে তরুণীকে মারধরের সময় আরেক তরুণকে কথা বলতে শোনা যায়। যিনি বলছিলেন, ‘রোহিত বন্ধ কর, বন্ধ কর। অনেক হয়েছে। আর না, আর না।’

বিষয়টি নিয়ে টুইটারেও সরব হয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘এক তরুণীকে নির্মমভাবে মারধর করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে ফোনে বলেছি, ওই তরুণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’