নিহতদের অর্ধেকই খামেনির কমান্ডের সেনা

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট উপসাগরীয় দেশগুলোকে দায়ী করেছে তেহরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতের পুতুলেরা’ ইরানে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে।

ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আভাজ শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে শনিবার বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ জন নিহত হন। নিহত লোকজনের অর্ধেকই খামেনির কমান্ডের সেনা। ইরান-ইরাক যুদ্ধের বার্ষিকী উদযাপনের দিন এই হামলার ঘটনা ঘটে। সরকারবিরোধী সংগঠন আহভাজ ন্যাশনাল রেজিসটেনস ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) পৃথকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে কোনো সংগঠনই হামলার পক্ষে নিজেদের জড়িত থাকার প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

এদিকে এই হামলার পর তিন দেশের কূটনীতিকদের প্রতি সমন জারি করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের কূটনীতিকদের প্রতি সমন জারি করা হয়েছে। এই তিন দেশের বিরুদ্ধে ইরানের সরকারবিরোধী গোষ্ঠীকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই হামলায় কুচকাওয়াজ দেখতে যাওয়া নারী–শিশুও নিহত হয়েছে।

এদিকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি যে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের দিকে আঙুল তুলেছেন, তা স্পষ্ট। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফও হামলার পরপর বলেছিলেন, বিদেশি মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোই এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, শনিবারের হামলায় ইরানের এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের যে সদস্যরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকই সর্বোচ্চ নেতা খামেনি কমান্ডের আওতায় ছিলেন। অর্থাৎ এলিট ফোর্সের মধ্যেও সবচেয়ে চৌকস সেনা সদস্যদের প্রাণ গেছে ওই হামলায়। ফার্স নিউজ এজেন্সি বলছে, মাত্র ১০ মিনিটেই চারজন বন্দুকধারী ভয়াবহ এই হামলা চালিয়েছে।