যুক্তরাজ্যে সেরা রেস্তোরাঁ পেল 'গোল্ডকাপ'

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। লন্ডন, যুক্তরাজ্য। ছবি: জি আর সোহেল
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। লন্ডন, যুক্তরাজ্য। ছবি: জি আর সোহেল

যুক্তরাজ্যে রেস্তোরাঁ খাতে জমকালো অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান নতুন নয়। অ্যাওয়ার্ডের সর্বশেষ সংযোজন এশিয়ান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড টেইকওয়ে অ্যাওয়ার্ডস। সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ‘আরতা’। আয়োজনের দিক থেকে বেশ নতুনত্ব দেখাল ‘আরতা’।

গত রোববার অনুষ্ঠিত আরতার প্রথম আসরে সেরা কারির জন্য তুলে দেওয়া হলো ‘গোল্ডকাপ’, যার অর্থ মূল্য ৫০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৬০ লাখ টাকা)। আর লটারির মাধ্যমে একজন ভোজনবিলাসীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে গাড়ি। দেড় হাজারের অধিক অতিথির এই বিশাল আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনের অন্যতম বিনোদন আকর্ষণ ওটুর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে।

অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন স্কাই নিউজের প্রেজেন্টার সামান্থা সিমন্ড ও ব্রিটিশ কমিডিয়ান অ্যাইন্সলে হ্যারিয়। স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পীর পাশাপাশি জমকালো এই আয়োজনে মঞ্চ মাতান বলিউডের খ্যাতনামা শিল্পী আলকা ইয়াগনিক। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন আরতার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনিম সালিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের প্রধান ও বাণিজ্যবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ভিন্স ক্যাবল। তিনি যুক্তরাজ্যের চলমান উত্তেজনাপূর্ণ ইস্যু ব্রেক্সিট (ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) এবং রেস্তোরাঁ খাতের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে কথা বলেন। ব্রেক্সিটবিরোধী রাজনীতিক ভিন্স ক্যাবল বলেন, ব্রেক্সিটের পর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে রেস্টুরেন্ট-কর্মী আনার সুযোগ বাড়বে, এমন আশা অবান্তর। তিনি বলেন, ইউরোপ থেকে লোক আসা কমলে অন্য দেশ থেকে লোক আসা বেড়ে যাবে, এমনটি কখনো হবে না।

রেস্তোরাঁ খাতের কর্মী সংকটের সমাধানে তিনি বিশেষ ভিসা চালুর পক্ষে মত তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪টি রেস্তোরাঁকে সেরা নির্বাচিত করে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে দেওয়া হয় সাতটি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। আর ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য চ্যাম্পিয়ন’ খেতাব জয়ী হয় কেমব্রিজের ‘কারি প্যালেস’। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের স্বর্ণের ট্রফি। এ ছাড়া কারি শিল্পে প্রায় ৫০ বছরের উজ্জ্বল ভূমিকার জন্য ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন এসেক্সে এলাকার মহারাজা রেস্তোরাঁর মালিক সিরাজ আলী।