বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার আহ্বান

পদ্মা নদীর কারণে গৃহহারা হতে হয়েছে অনেককে। ছবি: এএফপি
পদ্মা নদীর কারণে গৃহহারা হতে হয়েছে অনেককে। ছবি: এএফপি

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা না গেলে বিপর্যয় দেখা দেবে। তাপমাত্রা এর নিচে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হলেও সুযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন শহরে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের দ্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) এ ব্যাপারে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সম্মেলনে ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বছরের গবেষণা এবং সপ্তাহজুড়ে বিজ্ঞানী ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে তুমুল দর-কষাকষির পর আইপিসিসি এ ব্যাপারে বিশেষ প্রতিবেদন পেশ করেছে।

তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ওপর জোর দিয়ে আইপিসিসির সহসভাপতি অধ্যাপক জিম স্কেয়া বলেছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে পারলে ব্যাপক উপকার পাওয়া যাবে। জলবায়ুপরিবর্তনজনিত প্রভাব কমাতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শক্তিব্যবস্থা, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটানো যাবে।

সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানল দেখা দেয়। ছবি: এএফপি
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানল দেখা দেয়। ছবি: এএফপি

এর আগে জলবায়ুসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে এবার গবেষকেরা বলছেন, শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। এতে খরা, বন্যা, অতিরিক্ত গরম ও লাখো মানুষের দারিদ্র্যের ঝুঁকি রয়ে যাবে।

সম্মেলনে ওয়ার্কিং গ্রুপের সহসভাপতি ডেব্রা রবার্টস বলেন, বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে এটাই সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা। এই মুহূর্ত থেকে সবাইকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।