অযোধ্যা শুনানি জানুয়ারিতে

ভারতের শাসক দল বিজেপিকে হতাশ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিলেন, অযোধ্যা মামলার শুনানি জানুয়ারির আগে শুরু করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আজ সোমবার জানিয়ে দেন, সর্বোচ্চ আদালতের হাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। জানুয়ারির আগে তাই শুনানি শুরু করা সম্ভব নয়।

মাত্র চার মিনিটের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ কথাও বলেন, মামলাটি কোন বিচারপতির এজলাসে শোনা হবে তা পরে ঠিক করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, অযোধ্যা মামলা প্রধান বিচারপতি নিজের কাছে রাখতে নাও পারেন।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০ সালে অযোধ্যা বিতর্কের সমাধানে বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর এলাকাকে তিনটি সমান ভাগে ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একটি ভাগ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, একটি ভাগ নির্মোহী আখড়ার, তৃতীয়টি রাম লালাকে (শিশু রামচন্দ্র)। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সব পক্ষই সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন। সব মামলাকে এক করে প্রধান বিচারপতি ২৭ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২৯ অক্টোবর থেকে লাগাতার শুনানি হবে। সোমবার তিনি বিবদমান সব পক্ষকে জানিয়ে দেন, জানুয়ারির আগে মামলা শোনা সম্ভব নয়।

বিজেপি এই নির্দেশে হতাশ। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মন্তব্য, কংগ্রেস বিষয়টিকে হিন্দু–মুসলমান চরিত্র দিয়েছে। মীমাংসার জন্য আদালতেরও প্রয়োজন নেই। দুঃখের বিষয়, হিন্দুরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা বজরঙ্গ দলের প্রতিষ্ঠাতা বিনয় কাটিয়ারের অভিযোগ, কংগ্রেসের চাপেই এই অবস্থা।

কংগ্রেস আগে দাবি জানিয়েছিল, ২০১৯ সালের ভোটের সাধারণ নির্বাচনের পর অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়া হোক। কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল বলেছিলেন, মন্দির–মসজিদের রাজনীতি যাতে নির্বাচনের ইস্যু না হয় তা দেখা দরকার।