রথযাত্রা নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুমকি বিজেপির

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব তিনটি সুসজ্জিত রথ বের করার ঘোষণা দিয়েছে। বিজেপি এই রথযাত্রা বের করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও, এখনো তারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রথযাত্রার অনুমতি পায়নি। রাজ্য বিজেপি বলছে, এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।

আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রথম রথটি বের হবে পশ্চিমবঙ্গের তারাপীঠ থেকে। দ্বিতীয় রথটি ৭ ডিসেম্বর কোচ বিহার এবং তৃতীয় রথটি বের হবে ৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে। এই রথযাত্রা উদ্বোধনে থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এই রথযাত্রায় যোগ দিতে বিভিন্ন সময় পশ্চিমবঙ্গে আসবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রীরা। রথ কলকাতায় এসে পৌঁছাবে আগামী ২২ জানুয়ারি। এরপরেই ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে মহা সমাবেশ করবে বিজেপি। এতে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

গতকাল সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘দু’সপ্তাহ আগে এই রথযাত্রা এবং রথযাত্রার পরিক্রমা সূচি নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করেছি। এখনো রাজ্য সরকার আমাদের এই রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি।’ দিলীপ ঘোষ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘রাজ্য সরকার আমাদের অনুমতি না দিলেও আমরা নির্দিষ্ট তারিখে এই রাজ্যে রথ বের করব। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’ ফলে এই রথযাত্রা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

এদিকে এই রথযাত্রার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে রাজ্যের বাম দল, কংগ্রেসসহ তৃণমূল কংগ্রেস। বাম দল ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা মানব দেয়াল বানিয়ে রথযাত্রা আটকাবে। বিজেপি এর উত্তরে বলেছে, যারা এই রথ আটকাবে তাদের রথের চাকায় পিষে মারা হবে!

অন্যদিকে গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পোস্তায় ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘রামের নামে আসলে ওরা ভোট চাইছে। রথ তো নয়, রথের নামে পাঁচতারা হোটেল বানিয়েছে ওরা।’