ম্যার্কেলও বললেন ইউরোপীয় সেনাবাহিনীর কথা

আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স
আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের কথা বলছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বুধবার ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে একক ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ার কথা বলেছেন ম্যার্কেল। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মৌলিক সংস্কার করার দিকেও গুরুত্ব দেন তিনি।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আগামীর ইউরোপকে নিয়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিজের ভাবনার কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি বলেন, ইউরোপীয় সেনাবাহিনী ন্যাটো জোটের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না, বরং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আগামী দিনে যেন আর কোনো জাতিগত যুদ্ধ না হয়, সেই বিষয়ে ও বিশ্বশান্তির প্রক্রিয়ায়ই ভূমিকা রাখবে। ইউরোপের যেসব দেশে জাতীয়তাবাদী ও কট্টরপন্থীদের উত্থান বাড়ছে, সংস্কারের মাধ্যমে তা ঠেকানোর কথাও জানান তিনি।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আরও সংহতি, সৌহার্দ্য গড়ে তুলতে এবং আরও মানবিক হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান জার্মানির চ্যান্সেলর।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গত শনিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শত বছর পূর্ণ উপলক্ষে স্মরণসভার এক দিন আগেই পুনরায় ইউরোপীয় ঐক্য, সংহতি ও শান্তির পাশাপাশি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। জার্মানি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে দীর্ঘ সময় নিলেও তারা এখন একক ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ভাষণের প্রশংসা করে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জাঁ-ক্লদ জাঙ্কার বলেন, তিনি (ম্যার্কেল) তাঁর দেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে যেভাবে শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ইতিহাস তা স্মরণ করবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নির্বাচিত ইইউ পার্লামেন্টের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে। পাঁচ বছর মেয়াদি ইইউ পার্লামেন্টের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ২৬ মে।