গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শ্রদ্ধা নেই ভারতের: মৃণাল হাজারিকা

আসামের রাজধানী গৌহাটিতে প্রকাশ্যেই উড়ল নিষিদ্ধ উলফার পতাকা। ছবি: সংগৃহীত
আসামের রাজধানী গৌহাটিতে প্রকাশ্যেই উড়ল নিষিদ্ধ উলফার পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার প্রশ্ন তুলেছেন আলোচনাপন্থী উলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা। তিনি বলেন, ‘আসাম বা দিল্লি সরকারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকাতেই বারবার যুবকেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে।’

আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বিভিন্ন স্কুলে সম্প্রতি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সংযুক্ত মুক্তিবাহিনী ও আসামের স্বাধীন গোষ্ঠীর (উলফা-আই) সদস্যরা তাঁদের পতাকা উত্তোলন করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ দিকে উলফা আই-এর পক্ষে দাবি করা হয়েছে, যুবকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বুঝিয়ে দেন তাঁদের শক্তি। ভবিষ্যতে তাঁরা আরও বড় ধরনের শক্তির পরীক্ষা দিতেও প্রস্তুত।

উলফা আই-এর পতাকা তোলা প্রসঙ্গে শনিবার প্রথম আলোর কাছে মুখ খোলেন আলোচনাপন্থী উলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ অযথা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। ভারতে বা আসামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর ভারত বা আসাম সরকারের কোনো শ্রদ্ধা নেই। তাই সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে যুবকেরা। হাতে তুলে নিচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র।’

পুলিশি ধরপাকড় প্রসঙ্গে মৃণাল হাজারিকা বলেন, ‘নিজেদের ইমেজ ঠিক রাখতে এখন নিরীহ মানুষদের ধরপাকড় করছে পুলিশ।’

সম্প্রতি তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উলফা আইয়ের ‘লিঙ্কম্যান’ সন্দেহে আটক ঝিন্টু গগৈকে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে আসাম পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে মৃণাল বলেন, ‘এর আগেও ঝন্টুকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পরে কিছুই প্রমাণ হয়নি। আসলে পুলিশ নিজেদের ইমেজ ঠিক রাখতেই এসব করছে।’