খাসোগির 'খুনিকে' তুরস্কের কাছে দেবে না সৌদি

জামাল খাসোগি। রয়টার্স ফাইল ছবি
জামাল খাসোগি। রয়টার্স ফাইল ছবি

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব নাকচ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিককে আমরা অন্য দেশের কাছে প্রত্যর্পণ করি না।’

মাত্র এক সপ্তাহ আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিচারের জন্য সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। গত বুধবার তুরস্কের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত অক্টোবরে জামাল খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সৌদি আরব।

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান আহমেদ-আল-আসিরি ও সাবেক উপদেষ্টা সৌদ-আল-কাহতানির বিরুদ্ধে তুরস্কে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তুরস্কের এ ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল জুবায়ের। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা তুরস্ককে বলেছিলাম তথ্য–প্রমাণ দিতে, যাতে এগুলো আদালতে আমরা ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু তুরস্ক তা করেনি।’

এরদোয়ান দাবি করেন, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ আসে। কিন্তু তিনি সৌদি আরবের রাজপরিবারের ক্ষতি চান না বলেও জানান। সৌদি আরব বলেছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খাসোগি হত্যায় জড়িত ছিলেন না। সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলি বলেন, কনস্যুলেটের ভেতরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল।

জামাল খাসোগি আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের অভিযান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। আল–কায়েদার সাবেক শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনের উত্থান নিয়ে জামাল খাসোগির অনেক প্রতিবেদন রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সৌদি রাজপরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান জামাল খাসোগি। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন। তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নীতির সমালোচনা করতেন। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রথম কলামে খাসোগি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শেষ কলামে তিনি ইয়েমেনে সহিংসতায় সৌদি আরব জড়িত থাকার সমালোচনা করেন।