টাইমের সেরা কে - খাসোগি-মেগান-পুতিন?

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের ছোট তালিকায় নাম উঠেছে নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগির। গতকাল সোমবার ম্যাগাজিনটি এমন তথ্য জানিয়েছে। 

১৯২৭ সাল থেকে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন পারসন অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে আসছে। বিশ্বে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট, রাজনীতিবিদ, অভিনেতা, পরিবেশবিদরা।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে নিজের বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’–এর এ কলামিস্ট জামাল খাসোগি। সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক খাসোগি একজন সৃজনশীল ভাষ্যকার বলে মন্তব্য করেছে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন। তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি আরবের কনস্যুলেটে খুন হওয়ার আগে জামাল খাসোগির শেষ কথা ছিল, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ তুরস্কের কয়েকজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, হত্যার পর খাসোগির দেহ টুকরা টুকরা করতে করাত ব্যবহার করা হয়।

জামাল খাসোগির পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামও উঠে এসেছে তালিকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালে ‘টাইম’–এর পারসন অব দ্য ইয়ার হয়েছিলেন। সব সময় বিতর্কিত মন্তব্য করা ট্রাম্প এ বছরের সেরা প্রভাবশালীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে মার্কিন সীমান্তে প্রায় ২ হাজার পরিবার আটকে ছিল। অবৈধ উল্লেখ করে মা–বাবা থেকে সন্তানকে আলাদা করা হয়। এ বছরের এপ্রিলের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে জুনে শেষ করা হয়। এতে হাজারো শিশু আইনের ফাঁদে আটকা পড়ে আর তাদের মা–বাবাকে জেলে পুরা হয়। এই বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিবারগুলোও আছে ‘টাইম’–এর পারসন অব দ্য ইয়ারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

এ বছরের মার্চে নির্বাচিত হওয়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আছেন ‘টাইম’–এর পারসন অব দ্য ইয়ারের তালিকায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন এ বছরে সস্ত্রীক উত্তর কোরিয়া যান। তিন দিনের ওই সফরের উদ্দেশ্য ছিল স্থবির পারমাণবিক আলোচনাকে এগিয়ে নেওয়া। মুনও আছেন ‘টাইম’–এর পারসন অব দ্য ইয়ারের তালিকায়।

এ বছরের মে মাসে ছোট পর্দা ও বড় পর্দার তারকা মেগান মার্কেল পাকাপাকিভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ হয়েছেন। ১৯ মে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ে। এরপর বছর শেষের দিকে মেগান সুখবর দেন, তিনি মা হতে যাচ্ছেন। ওই সময় এই রাজকীয় বিয়ে নিয়ে বিশ্বে জোর আলোচনা হয়েছে।