জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের অভিবাসন আইন চূড়ান্ত

আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স
আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স

জার্মানিতে অবশেষে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীদের জন্য অভিবাসন আইন চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের পর জার্মানির জোট সরকার দক্ষ শ্রমিক কর্মী অভিবাসন আইন বিষয়ে একমত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বুধবার জার্মানির সংসদে দক্ষ শ্রমিক কর্মী অভিবাসন আইনের খসড়া বিলটি পাস হবে এবং এই আইন বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ জানা যাবে।

দেশটির মহাজোট সরকারের বড় শরিক আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চায়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন ও ক্রিশ্চায়ন সোশ্যাল ইউনিয়নের কিছু সাংসদ জানিয়েছেন, কিছু বিতর্কিত অংশের খসড়া বিলটি পাস হওয়ার পরও পরিবর্তন করা যাবে।

বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি হলো একজন অভিবাসী দক্ষ শ্রমিক কর্মীর যোগ্যতা যাচাই করতে কতটা সময় দেওয়া হবে। এ ছাড়া জার্মানিতে যেসব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, আশ্রয় চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাঁদের এই সুযোগে আওতায় এনে থাকার অনুমতি দেওয়া।

অভিবাসন আইনের খসড়া বিলটিতে যে কোনো অভিজ্ঞ ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি জার্মানিতে কাজের জন্য ছয় মাসের ভিসা পাবেন। তবে প্রথম ছয়মাস নিজ খরচে জার্মানিতে থাকা ও স্বাস্থ্য বীমা সংক্রান্ত আর্থিক সংগতি থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নিজের কর্ম ও জার্মান ভাষায় দক্ষতা দেখিয়ে চাকরি পেলে তাঁকে দুই বছরের ভিসা দেওয়া হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকে আগত অভিবাসীদের জন্য আরও বেশি ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আইনে থাকছে। সে ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ না থাকলেও কারিগরি বৃত্তিমূলক কাজে অভিজ্ঞ হলেও চলবে।

জার্মানির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন থেকে জার্মানির সরকারকে দক্ষ শ্রমিক কর্মী অভিবাসন আইন পাস করবার জন্য তাগাদা দিচ্ছিল। সম্প্রতি জার্মান কর্মসংস্থান সংগঠনের সভাপতি ইঙ্গো ক্রেমার বলেন, ২০১৫ সালে জার্মানিতে আশ্রয়প্রাপ্ত প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীদের একটি বড় অংশ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশার চাইতে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এসব শরণার্থী ক্রমেই জার্মানির অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি স্তম্ভ হয়ে উঠছে। প্রায় চার লাখ শরণার্থী কাজ করছেন বা স্বল্পমেয়াদি কারিগরি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জড়িত আছেন। মাত্র এক বছর মেয়াদি জার্মান ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে এসব তরুণ শরণার্থী কাজ করছেন এবং সব রকমের কর দিচ্ছেন।