দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরে হামলার ষড়যন্ত্র, ১০ জঙ্গি গ্রেপ্তার

জঙ্গি সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ । ছবি: এনআইএর সৌজন্যে
জঙ্গি সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ । ছবি: এনআইএর সৌজন্যে

ভারতে অস্ত্রশস্ত্রসহ সন্দেহভাজন ১০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দিল্লিসহ সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরে হামলার পরিকল্পনা করছিল। তারা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে উদ্বুদ্ধ হরকাত-উল-হারব-ই-ইসলামের সঙ্গে যুক্ত।

এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের মোট ১৭টি স্থানে এই অভিযান চালায় এনআইএ। এ অভিযানে দিল্লি থেকে পাঁচজন ও উত্তর প্রদেশ থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনআইএ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন প্রকৌশলী, কয়েকজন কলেজছাত্র ও একজন ওয়েল্ডিং এক্সপার্ট রয়েছে।

এনআইএর সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি) সামনে রেখে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু স্থাপনা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর আত্মঘাতী ও দূর নিয়ন্ত্রিত (রিমোট কন্ট্রোল) বোমা হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল। চার মাস ধরে এই পরিকল্পনা চালাচ্ছিল তারা। হামলার তালিকায় দিল্লি পুলিশের দপ্তর ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদর দপ্তরও রয়েছে।

এনআইএর মহাপরিদর্শক অলক মিত্তাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তার এই দলের নেতা হলেন মুফতি সোহাইল, যিনি দিল্লির একটি মসজিদে কর্মরত।

এনআইএ বলছে, তাদের এই অভিযানে দেশে তৈরি একটি রকেট লঞ্চার, ১২টি পিস্তল, ২৫ কেজি বোমা তৈরির রাসায়নিক পদার্থ, বুলেটপ্রুফ পোশাক, টাইম বোমায় ব্যবহার উপযোগী ১০০টির বেশি অ্যালার্ম ঘড়ি, বোমা বিস্ফোরণের কাজে রিমোট হিসেবে ব্যবহার উপযোগী ১০০টি মোবাইল ফোন ও ১৩৫টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

এনআইএ আজ যে ১৭টি স্থানে অভিযান চালায় তার মধ্যে দিল্লির সিলামপুর, উত্তর প্রদেশের হাপুর, মেরুত ও লক্ষ্ণৌ অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে যেসব বিদেশি ব্যক্তিদের যোগাযোগ ছিল ইতিমধ্যে তাঁদের পরিচয় জানা গেছে।