মধ্যপ্রাচ্যে সেনা রাখছে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: সংগৃহীত

ইরাক এবং আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর সক্রিয়তা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পরই মরিসন এ কথা জানান। 

মরিসন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ছয় শতাধিক সেনা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটির সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও তাদের সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তিনি প্রভাবিত নন বলেও মন্তব্য করেন মরিসন। দেশগুলোতে জঙ্গি হামলা প্রতিহত হয়েছে—ট্রাম্পের এমন দাবির সঙ্গেও একমত প্রকাশ করেননি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর তাজি সামরিক কমপ্লেক্স সফর শেষে গত রোববার অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে এসে এসব কথা জানান মরিসন।

মরিসন তাঁর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখনো সন্তুষ্ট নই। অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা, মানবিক ও উন্নয়নসহায়তা প্রদান জারি রাখবে।’ ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডে এখনো শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে মরিসন বলেন, ‘আমাদের সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সচেতন থাকতে হবে।’

ব্রিটেনের নিরাপত্তামন্ত্রী বেন ওয়ালেস আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আল-কায়েদা নীরবে ইউরোপের দিকে আক্রমণের জন্য তৈরি হচ্ছে। তারা বিমান ও বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনা করছে। তাঁর এই বার্তার প্রতিক্রিয়ায় মরিসন বলেন, ‘ধর্মের নামে হওয়া চরমপন্থী সহিংসতার ব্যাপারে আমাদের সরকার অবগত ও সচেতন রয়েছে।’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ান সেনা না সরানোর এমন সিদ্ধান্ত দেশটির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দল লিবারেল পার্টির অবস্থানে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে মরিসনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টি কোনো মন্তব্য করেনি।