অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন

বিশ্বের অন্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনসহ (এবিসি) দেশটির প্রায় সব সংবাদমাধ্যম ফলাও করে নির্বাচনের খবর প্রচার করেছে।

‘ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন’ শিরোনামে গতকাল সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। নির্বাচনের পুরো চিত্র তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। এ ছাড়া এসবিএস নিউজ, দ্য অস্ট্রেলিয়ান, নিউজ ডটকম ডট এইউ এবং নাইন নিউজ, স্কাই নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলসহ অন্য সব সংবাদমাধ্যমে নির্বাচনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলোর শিরোনাম ও বিষয়ে নির্বাচনি সহিংসতার খবরও প্রাধান্য পেয়েছে। নির্বাচনে সরকারি দলের প্রভাব বিস্তারের কথাও বলা হয়েছে কয়েকটিতে।

সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের দিন প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘সহিংসতা অব্যাহত, বাংলাদেশিদের নির্বাচন চলছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সহিংসতার পর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশিরা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়বেন আর সংসদের বাইরের বিরোধী দলের নেত্রী কারাগারে আছেন। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর রাজধানী শহরের রাস্তা খালি হয়ে গেছে। কেননা শহরের বাসিন্দারা নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিতে গেছেন। এবারের নির্বাচনে লাখো নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন হবে না দাবি করে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাহার করে। এবারের নির্বাচনে দলটির নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন।

এবিসি নিউজ ‘মারাত্মক সংঘর্ষ, ভোট কারচুপি আর নানা অভিযোগে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবরের শুরুতেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৭ জনের প্রাণহানির কথা বলা হয়। তৃতীয় বারের মতো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় নির্বাচনে বিরোধী দলের নড়বড়ে অবস্থানের কথাও।

এসবিএস নিউজ, দ্য অস্ট্রেলিয়ান, নিউজ ডটকম ডট এইউ পত্রিকা এবং নাইন নিউজ, স্কাই নিউজ টেলিভিশনসহ অন্য সব গণমাধ্যমের সংবাদে নির্বাচনি সহিংসতার কথা উল্লেখ ছিল।