৫০০ বিয়েতে নববর্ষ উদ্যাপন

বিয়ের সাজে জিমি ও রিজকা। তাঁদের বয়স ১৯ বছর। তাঁরাও ৫০০ জনের মতো নতুন বছরের সূচনালগ্নে বিয়ে করেন। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি
বিয়ের সাজে জিমি ও রিজকা। তাঁদের বয়স ১৯ বছর। তাঁরাও ৫০০ জনের মতো নতুন বছরের সূচনালগ্নে বিয়ে করেন। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি

ইংরেজি নতুন বছরকে একেক দেশ একেক ভাবে স্বাগত জানায়। ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে স্বাগত ও উদযাপনের কারণে সেগুলো আলোচনায় থাকে। এবার ইংরেজি নতুন বছরকে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ একটু ভিন্নভাবে স্বাগত জানাল। রাজধানী জাকার্তায় গণবিয়ে আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্করাও।

বিয়ে হয়ে গেছে। এখন ছবি তোলার পালা বলেই এত খুশি তাঁরা। জাকার্তা সরকার নতুন বছর আগমন উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো গণবিয়ের আয়োজন করল। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি
বিয়ে হয়ে গেছে। এখন ছবি তোলার পালা বলেই এত খুশি তাঁরা। জাকার্তা সরকার নতুন বছর আগমন উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো গণবিয়ের আয়োজন করল। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিনের শুরুতে জাকার্তায় ছিল বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁবুর নিচে পাঁচ শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। বয়স্ক, তরুণ-তরুণীদের এ বিয়ের আয়োজক জাকার্তা সিটি কর্তৃপক্ষ। গণবিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল গরিব পরিবারের সদস্যদের জন্য। জন্ম ও বিয়েসংক্রান্ত সরকারি কাগজপত্র যাঁদের নেই, তাঁরাই এ বিয়ের সুযোগ পেয়েছেন।

জাকার্তা সরকার নতুন বছর আগমন উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো গণবিয়ের আয়োজন করল। এই গণবিয়েতে তরুণ-তরুণীর পাশাপাশি ছিলেন বয়স্করাও। সবচেয়ে বয়স্ক বরের বয়স ৭৬ বছর আর কনের ৬৫ বছর। আর সবচেয়ে কম বয়সীর বয়স ১৯ বছর।

কবে আসবে ডাক—বিয়ের পোশাকে এ অপেক্ষায় তাঁরা। নতুন বছর আগমন উপলক্ষে জাকার্তা সরকার গণবিয়ের আয়োজন করে। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি
কবে আসবে ডাক—বিয়ের পোশাকে এ অপেক্ষায় তাঁরা। নতুন বছর আগমন উপলক্ষে জাকার্তা সরকার গণবিয়ের আয়োজন করে। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ৩১ ডিসেম্বর। ছবি: এএফপি

জাকার্তার গভর্নর আনিছ বাশওয়েদান জানান, আইনগতভাবে বৈধ বিয়ে হয়েছে। এর ফলে দম্পতি ও তাঁদের সন্তানেরা চিকিৎসাসেবা পাবেন। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে অবারিত সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, গণবিয়ের জন্য নতুন বছরের সূচনার সময় বেছে নেওয়ার কারণ হলো, নবদম্পতি বিবাহ উৎসব উদযাপন করলে অন্য সবাই এটি উদযাপন করবে।

৫০০ তরুণ-তরুণীর একজন রোহিহা। তিনি এএফপিকে বলেন, তিনি খুবই খুশি। কারণ বৈধভাবে দাহারুণ হাকিমকে বিয়ে করেছি। ইমাম বিয়ে পড়ানোর পরই দারুণ উচ্ছ্বসিত রোহিহা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি, খুবই খুশি। এখন আমি আমার সন্তানের জন্মসনদ নিতে পারব। সন্তান এখন এ দেশের অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’