কলকাতায় ১৬ কুকুরছানা হত্যায় গ্রেপ্তার দুই ছাত্রী

নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (এনআরএস) নার্সিং হোস্টেলের সামনে গত রোববার ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে তা শহরজুড়ে আলোড়ন তোলে। তদন্তে নামে পুলিশ। আজ বুধবার এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ ওই হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের দুই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা দুজন হলেন সোমা বর্মণ ও মৌটুসি মণ্ডল। সোমা প্রথম বর্ষ ও মৌটুসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁরা নার্সিং হোস্টেলে থাকেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নার্সিং হোস্টেলের সামনে থাকা এই বেওয়ারিশ কুকুরছানাগুলোকে বড় দিদিদের পরামর্শে মারার উদ্যোগ নেন ওই দুই ছাত্রী। কুকুরছানাগুলো হাঁটাচলার সময় ছাত্রীদের পা কামড়ে ধরত। জ্বালাতন করত। তাই মারার সিদ্ধান্ত নেন ওই দুই ছাত্রী। গত শনিবার সব কুকুরছানাকে এক জায়গায় জড়ো করতে তাঁরা বিস্কুট কিনে আনেন। পরদিন রোববার দুপুরের দিকে হোস্টেলের সামনের ফাঁকা জায়গায় বিস্কুট দেখিয়ে কুকুরছানাগুলো জড় করে তারা। তারপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যার সময় মা কুকুরগুলো পাশে বেঁধে রাখেন তাঁরা।

এই হোস্টেলের পাশেই রয়েছে কলকাতা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানকার এক ছাত্র সৌরভ চক্রবর্তী এই কুকুরছানা হত্যার ঘটনা গোপনে ভিডিও করেন। ওই দিনই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। টনক নড়ে এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয় মৃত কুকুরছানাগুলো।

এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভিডিওর ছবি দেখে ওই দুই ছাত্রীকে শনাক্ত করা হয়। কুকুরছানা হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানের জন্য জোর দাবি তুলেছে কলকাতার বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। এমনকি ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী, পশুপ্রেমী মনেকা গান্ধীও এই বিষয়ে থানার সঙ্গে কথা বলেছেন।