বইয়ে মেয়েদের মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ, বিতর্ক

মালয়েশিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে বিতর্কিত অংশ। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে বিতর্কিত অংশ। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় যৌন নির্যাতন রোধে পাঠ্যবইয়ে মেয়েদের মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ায় তা বাতিল করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।

মালয়েশিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পাঠ্য বইয়ের যে অংশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা বাতিল করা হচ্ছে। ওই অংশটি স্টিকার দিয়ে ঢেকে ফেলা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ‘সেভিং ওয়ান’স মডেস্টি’ বইয়ের একটি অধ্যায়ে মেয়েদের মার্জিত পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এই পাঠ্য বইটি নয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রণীত। এতে আমিরা নামে এক কল্পিত মেয়েশিশুকে নিজের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত পোশাক পরার পরামর্শ দেন মা-বাবা। তাঁরা আমিরাকে বলেন, পোশাক পরিবর্তনের সময় ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে এবং নির্জন কোনো জায়গায় একা বেশিক্ষণ না থাকতে। বইয়ে আরও বলা হয়েছিল, যদি সে (আমিরা) তার ওপর যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে না পারে, তবে আমিরা ও তার পরিবারে জন্য বিষয়টি লজ্জাকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে, বন্ধুরা তাকে এড়িয়ে চলবে এবং লোকলজ্জার মুখে পড়তে হবে।

মালয়েশিয়ার সমাজকর্মীরা বলেন, ওই বইয়ে মেয়েশিশুর ওপর যৌন আক্রমণের ঘটনা দিয়ে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে সেই মেয়েশিশুদেরই দোষী করা হয়েছে।

উইমেনস এইড অর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরা সামন্তর বলেন, শিক্ষার নামে পাঠ্যবইয়ে নয় বছরের মেয়েশিশুদের যেভাবে তাদের শরীরের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, তা লজ্জাকর। এতে যৌন হয়রানিকারীদের দোষ না দিয়ে শিশুদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে।