কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ৫ ছাত্রীকে নিষেধাজ্ঞা

নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (এনআরএস) নার্সিং হোস্টেলের সামনে ১৬টি কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ওই নার্সিং কলেজের পাঁচ ছাত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই পাঁচ ছাত্রীকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন অনেকে। এর আগে ওই পাঁচজনের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার করা ছাত্রীরা হলেন সোমা বর্মন ও মৌটুসি মণ্ডল। তাঁরা এখন কারাগারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণমন্ত্রী এবং পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নার্সিং কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তা না হলে ওই নার্সিং কলেজের লাইসেন্স বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তির দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে শতাধিক ই–মেইল বার্তা পেয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কলকাতা শহরে এখন দেড় লাখের বেশি বেওয়ারিশ পথকুকুর রয়েছে। তাদের নির্বীজকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য খরচ করা হচ্ছে ৩ কোটি রুপি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে নার্সিং কলেজটির ছাত্রীরা গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁরা অবিলম্বে জড়িত ছাত্রীদের মুক্তি দাবি করেন। তা না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা জানান, হাসপাতালের সামনে এই পথকুকুরদের জ্বালাতন, কামড় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করেছেন তাঁরা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনো সমাধান হয়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নার্সিং হোস্টেলের সামনে থাকা এই বেওয়ারিশ কুকুরছানাগুলোকে বড় দিদিদের পরামর্শে মারার উদ্যোগ নেন ওই দুই ছাত্রী। কুকুরছানাগুলো হাঁটাচলার সময় ছাত্রীদের পা কামড়ে ধরত। জ্বালাতন করত। গত রোববার দুপুরে হোস্টেলের সামনের ফাঁকা জায়গায় বিস্কুট দেখিয়ে কুকুরছানাগুলো জড়ো করে সেগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হোস্টেলের পাশেই রয়েছে কলকাতা আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানকার এক ছাত্র সৌরভ চক্রবর্তী এই কুকুরছানা হত্যার ঘটনা গোপনে ভিডিও করেন। ওই দিনই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।