মাদুরোর বিরুদ্ধে ৭৩ টন সোনা বিক্রির অভিযোগ

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ছবি: রয়টার্স
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ছবি: রয়টার্স

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর সরকার গত বছর তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭৩ টন সোনা বেচেছে। বিরোধী দল-নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট—ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অনুমতি ছাড়া ওই সোনা বিক্রি করা হয় বলে গত বুধবার দাবি করেছেন বিরোধী দলের এক আইনপ্রণেতা।

ধারণা করা হচ্ছে, মাদুরো সরকার মার্কিন অবরোধ কাটিয়ে ওঠার জন্য সোনা বিক্রি করছে। আর হুয়ান গুয়াইদোর নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল চাইছে ভেনেজুয়েলার সোনা বিক্রি থামাতে। প্রসঙ্গত, স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন নেতা গুয়াইদোকে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ লাতিন আমেরিকান বেশির ভাগ দেশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতা কার্লোস পাপারনি বলেন, ভেনেজুয়েলা থেকে গত বছর আবুধাবির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নূর ক্যাপিটাল ২৭ দশমিক ৩ টন সোনা কিনেছে এবং তুরস্কের একটি প্রতিষ্ঠান ২৩ দশমিক ৯ টন সোনা কিনেছে। যদিও সোনা বিক্রির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

পাপারনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এক গ্রাম সোনাও যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তাঁরা।

সোনা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরের শেষে ভেনেজুয়েলার সোনার মজুত ছিল ১৩২ টন। সেসব সোনার মজুত ছিল দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে।

গত শুক্রবার নূর ক্যাপিটাল জানিয়েছিল, ভেনেজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গত ২১ জানুয়ারি তিন টন সোনা কিনেছে তারা। তবে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সোনা কিনবে না তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আইনপ্রণেতা কার্লোস পাপারনি আরও বলেন, মাদুরোর প্রশাসন ১২ কোটি ৭০ লাখ ইউরো রাশিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। তবে সেটা কবে তা বলতে পারেননি তিনি।