কলকাতার মেয়রের সঙ্গে মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। কলকাতার পৌর করপোরেশন ভবনে আজ শনিবার বিকেলে কলকাতার মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাজুল ইসলাম।

এ সময় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কলকাতা পৌর করপোরেশনের বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন মেয়রের সঙ্গে। বিশেষ করে কলকাতায় যেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য ও নোংরা আবর্জনা নিষ্কাশন করা হয়, সেই পদ্ধতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে জানান কলকাতার মেয়র। এসব প্রযুক্তি বাংলাদেশে ব্যবহার করা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।

মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবাহী ঐতিহাসিক বেকার হোস্টেলে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় কলকাতা উপহাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবাহী ঐতিহাসিক বেকার হোস্টেলে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবাহী ঐতিহাসিক বেকার হোস্টেলে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

প্রসঙ্গত, ১৯১০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। ১৯৪৫-৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নের সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন। সেদিনকার এই ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ। এই স্মৃতি কক্ষে এখনো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি।

বেকার হোস্টেল পরিদর্শনের পর মৌলানা আজাদ কলেজে যান মন্ত্রী। এই কলেজে বঙ্গবন্ধু পড়াশোনা করেছেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।