কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
কলকাতায় বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীর দিনটি উদযাপিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দিনটি পালনের জন্য দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান, বিশেষ মোনাজাত, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত। বিকেলে উপহাইকমিশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীসহ কলকাতার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশুশিল্পীরা।
সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার ৮ স্মিথ লেনের সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ কলকাতার উপহাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমানসহ কলকাতার কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। আরও মাল্যদান করেন পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রিতে পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। ওই সময় তিনি কলেজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। ইসলামিয়া কলেজের নাম এখন বদলিয়ে রাখা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ।
১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। রয়েছে বইপুস্তকও। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। সেই হিসাবে ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।