ভারতের নির্বাচনে ভোটারদের জন্য নানা সুবিধা

ত্রিপুরার আগরতলার ডাকঘরে ভোটারদের অভিযোগ জানানোর বাক্স বসিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপুরার আগরতলার ডাকঘরে ভোটারদের অভিযোগ জানানোর বাক্স বসিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

ভোটারদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে এবারও সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দেশের প্রতিটি বুথে ভোটারদের জন্য পরিস্রুত পানীয় জল, বসার জায়গা ও শৌচাগার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি রাজ্যে চলছে ইসির বিশেষ প্রচারাভিযান।

ভারতীয় লোকসভার ৫৪৩টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আগামী ১১ এপ্রিল। সাত দফায় ভোট হবে। ভোট গণনা আগামী ২৩ মে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে আজই।

উত্তর–পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের ২৫টি আসনে ১১ এপ্রিলই শুরু হচ্ছে ভোট গ্রহণ। প্রথম দফায় আসাম, ত্রিপুরা ও মণিপুর বাদে সব রাজ্যেই ভোট গ্রহণ হবে।

অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে লোকসভার সঙ্গেই হবে বিধানসভার ভোট। আসামে ১১ এপ্রিল ছাড়াও রয়েছে ১৮ ও ২৩ এপ্রিল ভোট। ত্রিপুরা ও মণিপুরে অবশ্য ১৮ এপ্রিলেই শেষ হচ্ছে দুটি আসনের ভোট গ্রহণ।

আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে প্রথম দফার মনোনয়নপ্রক্রিয়া। কাল শুক্রবার শেষ হবে দ্বিতীয় দফার মনোনয়নপ্রক্রিয়া। আজই ৬০ সদস্যের অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার দুটি আসনে বিনা ভোটে জয় ঘোষিত হচ্ছে বিজেপির।

ত্রিপুরার দুটি আসনের জন্য ২৮ জন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আসামে ১০টি কেন্দ্রের জন্য বৈধ মনোনয়নের সংখ্যা ১০৫।

উত্তর–পূর্ব ভারতে কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বড় শক্তি হিসেবে ভোটে লড়ছে আঞ্চলিক দলগুলো। ফলে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই শক্তির বিচারে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে।

ভোটে নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। সর্বত্রই শুরু হয়েছে আস্থা বাড়ানোর কর্মসূচি।

ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) শ্রীরাম তরণীকান্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে বেশিসংখ্যক মানুষ ভোট দেবেন—এটাই লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। তাই সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তরণীকান্ত আরও বলেন, ‘প্রতিটি বুথেই ভোটারদের সুবিধার বিষয়টি লক্ষ রাখা হচ্ছে। থাকছে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক শৌচাগার। বিদ্যুতের ব্যবস্থাও থাকছে। প্রতিটি বুথে ভোটারদের বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাও বাধ্যতামূলক।’

নিরাপত্তার জন্য আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহলদারি শুরু হয়েছে স্পর্শকাতর এলাকায়। বুথে বুথে থাকছে নজরদারি ক্যামেরা। সেই সঙ্গে ভোটারদের অভিযোগ জানানোর জন্য বিভিন্ন ডাকঘরে বসানো হয়েছে অভিযোগ বাক্স। সেই বাক্সেও জমা দেওয়া যাবে অভিযোগ।

সব মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতো ভারতীয় নির্বাচন কমিশনও নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয়ে যত্নশীল।