টারান্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ আদালতের
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটন টারান্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে টারান্টের হামলায় ৫০ জন নিহত হন।
আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, হাইকোর্টের বিচারক ক্যামেরন মানডার বলেন, টারান্ট বিচারের উপযোগী নাকি উন্মাদ, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চান।
টারান্টের বিরুদ্ধে ৫০টি হত্যা ও ৩৯টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই হামলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোর মারা গেছেন। সবচেয়ে কম বয়সী নিহত শিশুটির বয়স মাত্র তিন বছর।
নিউজিল্যান্ডে এর আগে কখনো এত ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডের্ন এ ঘটনাকে তাঁর দেশের জন্য ‘অন্ধকারতম দিন’ বলে মন্তব্য করেন।
অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেনটন (২৮) আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিম করেন।
হামলার পর ব্রেনটনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। নিউজিল্যান্ডের কঠোর কারাগার হিসেবে পরিচিত অকল্যান্ডের পারেমোরেমো কারাগারে ব্রেনটনকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় আদালতে হতাহত কয়েকজনের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে টারান্টকে আদালতে হাজির করার পর বিচারক মানডার সন্দেহভাজন অপরাধীর মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি জানতে দুটো বিষয় নির্ধারণের নির্দেশ দেন। টারান্টের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তিনি । আদালতে তাঁকে হাজির করার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৪ জুন।
ওমর নবী নামে এক স্বজন আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা তাঁকে (ব্রেনটন) মারতে চাই না। আমরা চাই তিনি এখানে দুর্ভোগ পোহান। আমরা চাই তিনি সাজা পান। আপনারা জানেন, ৫০ জন মানুষকে হত্যা ও আহত করার সাজা কতটা হতে পারে।’ আল নুর মসজিদে হামলায় ওমর নবী তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন।
লিনউড মসজিদে হামলা থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়া তোফাজ্জল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদে নিয়মিত দেখা হতো—এমন ৫০ জন বন্ধুকে হারিয়েছি। হামলার সময় আমি তাঁকে (টারান্ট) দেখিনি। আমি দেখতে চাই, ৫০ জনকে হত্যার পর তাঁর অনুভূতি কী। এ কারণে আমি আজ এসেছি।’