অস্ট্রেলিয়ার বাজেট আর নির্বাচনের লড়াই একসঙ্গে

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জীবন ৪৬ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রেষারেষি হওয়াটা সহজাত একটি ঘটনাচক্র। তবে দেশটিতে রাজনৈতিক দল নয়, বরং এখন লড়াই চলছে নির্বাচন আর জাতীয় বাজেটের মধ্যে।

সাধারণত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করে সরকার। ১ জুলাই দেশটির নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগেই বাজেট পেশ করা হয়। তবে এ বছর মে মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন। ফলে ২ এপ্রিল দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নির্দেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। তবে যে নির্বাচনের জন্য এগিয়ে আনা হয়েছিল বাজেট, সেই বাজেটের কারণেই পিছিয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ। আর এ আদেশও দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজেই।

বিরোধী দল লেবার প্রধান বিল শর্টেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
বিরোধী দল লেবার প্রধান বিল শর্টেন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

দুই মেয়াদের দেশটির বর্তমান জোট সরকার দল লিবারেল পার্টি। এর আগে দুই মেয়াদেই দেশের গদিতে ছিল বিরোধী দল লেবার পার্টি। এরই মধ্যে গত ২৩ মার্চ শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নির্বাচন নিউ সাউথ ওয়েলসে। আর সেখানে খুব সহজেই জয়লাভ করে সরকার দল। এরই মধ্যে মরিসন সরকার বাজেট পেশ করার ঘোষণা দেয়। দেশটির সর্বস্তরের জনগণের আলোচনার টেবিলে চলে আসে বাজেট। আর এ জন্যই নির্বাচনী প্রচারণা আপাতত শুরু করবে না বলে জানিয়েছেন মরিসন। বাজেট আলোচনার পরেই নির্বাচন। আর এ জন্য তিনি এক সপ্তাহ সময়ও পিছিয়েছেন। আগামী ১১ মে থেকে ২৫ মে এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও, মরিসনের এই সিদ্ধান্তকে নির্বাচনে বিলম্ব করতে একটি সাজানো পরিকল্পনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দল লেবার প্রধান বিল শর্টেন।