ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলায় বিজেপি বিধায়ক নিহত

ভীমা মাণ্ডবী
ভীমা মাণ্ডবী

ভারতের ছত্তিশগড়ের দন্তেওয়াড়ার মাওবাদী হামলায় বিজেপি বিধায়ক ভীমা মাণ্ডবী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চার নিরাপত্তা রক্ষীও নিহত হয়। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশে ছত্রিশগড়ের কিরণডুল এলাকায় যাওয়ার পথে কুয়াকোন্ডা এলাকায় ভীমা এই হামলার স্বীকার হন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এর আগে এ ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। প্রথম দফায় ভোট হওয়ার কথা বস্তারে। এ ঘটনার পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে বিজেপি।

পুলিশ বলছে, গতকাল নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন ভীমা মাণ্ডবী। বিকেল পাঁচটার দিকে বাছেলি এলাকার কুয়াকোন্ডার দিকে যাচ্ছিল তাঁর বহর। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে যায় বিধায়কের গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মাণ্ডবী, তাঁর গাড়ির চালক ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। সঙ্গে থাকা রাজ্য পুলিশের গাড়িও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন চার পুলিশ। আহত ব্যক্তিরা গাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করতেই আশপাশে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা গুলিবৃষ্টি শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠায় সিআরপিএফ।

পুলিশ বলছে, দূর নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির সাহায্যে বিধায়কের গাড়ি নিশানা করে শত্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে মাওবাদীরা। ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের কারণে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

দন্তেওয়াড়া সংরক্ষিত আসন গত বছর পর্যন্ত কংগ্রেসের দখলে ছিল। মাওবাদী হামলায় নিহত কংগ্রেস নেতা মহেন্দ্র কর্মার স্ত্রী দেবতী কর্মাকে গত বছরের বিধানসভা ভোটে হারিয়ে আসনটি দখল করেন ৪০ বছর বয়সী মাণ্ডবী। তৃণমূল স্তরে সক্রিয় নেতা ও কট্টর মাওবাদী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। গত বছর দন্তেওয়াড়ায় মাওবাদী হামলায় দূরদর্শনের এক সাংবাদিক নিহত হওয়ার পরে মাওবাদীদের কড়া সমালোচনা করেন মাণ্ডবী। তার পর থেকেই তিনি জঙ্গিদের তালিকায় ছিলেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিতর্কিত পোস্ট করে বিপাকে পড়েন এই বিধায়ক। পরে এ জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। দাবি করেন তার সোশ্যাল মিডিয়া টিম ওই পোস্ট দেয়।

বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।