কংগ্রেসই এবার বিজেপিকে হটাবে

রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, চৌকিদার যেখানে যান, সেখানে মিথ্যের বুলি ছাড়েন। তাই এই চৌকিদারকে আর আজ দেশবাসী বিশ্বাস করে না। এবার এই চৌকিদারের বদল চায় দেশবাসী। হটাতে চায় দেশবাসী। আর এই চৌকিদারকে বদল করবে কংগ্রেসই। হটাবে কংগ্রেসই।

আজ বুধবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘিতে কংগ্রেস আয়োজিত এক বিরাট জনসভায় এ কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার রায়গঞ্জ আসনের মধ্যে পড়েছে করণদীঘি।

আজ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকেও কোনো কাজ করেননি চৌকিদার। কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। তবে কথা দিচ্ছি, আমরা গরিব-কৃষকদের জন্য এ দেশে চৌকিদারি করব।’

রাজীব–সোনিয়া পুত্র রাহুল বলেন, ‘বিজেপির এই চৌকিদার তো প্রত্যেকের ব্যাংক হিসাবে ১৫ লাখ রুপি দেওয়ার কথা বলে সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। তবে আমরা কথা দিচ্ছি, গরিবদের জন্য আমরা প্রতিবছর মাসে ৬ হাজার রুপি করে বছরে ৭২ হাজার রুপি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’ রাহুল বলেন, চৌকিদার তো বড় লোকের বাড়িতে থাকে। গরিবের ঘরে থাকে না। মোদিও তো অনিল আম্বানির চৌকিদার!
রাহুল বলেন, ‘মমতাজি আমাকে বলেছেন, কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে না। তাহলে কে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতির কথা এনেছিল আমজনতার সামনে? বরং আমরাই লড়ছি এখনো বিজেপির বিরুদ্ধে। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে। রাফাল ক্রয়ে ৩০ হাজার কোটি রুপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে। শিল্পপতি অনিল আম্বানির হাতে মোদি এই রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের ৩০ হাজার কোটি রুপি তুলে দিয়েছিলেন। সেই ইস্যু নিয়ে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। আজ বই রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, রাফালে দুর্নীতি হয়েছে। রাহুল বলেছেন, রাফাল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাজা হবেই।’
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বিজেপির সঙ্গে তো কংগ্রেস সমঝোতা করেনি। সমঝোতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে একসঙ্গে চলেছিল তৃণমূল। তাই বলছি, এই কংগ্রেসই এই ২০১৯ সালে বিজেপিকে হটাবে। আর কেউ পারবে না বিজেপিকে হটাতে। কংগ্রেসই হটাবে।

বলেন, মমতা গরিবদের জন্য বলেন, অথচ মওকুফ করেননি গরিব কৃষকদের ঋণ। বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারেননি মোদি ও মমতা। দেশে বেড়েছে বেকারত্ব। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সমাধান করা হবে বেকার সমস্যার।
রাহুল আরও বলেছেন, ‘আমি মোদিকে ভয় পাই না। আমি চাই না দুটি ভারত বানাতে। আমি চাই এক ভারতের তলে আমরা সবাই মিলেমিশে বাস করতে। যেখানে থাকবে না সাম্প্রদায়িকতার ছোঁয়া। সবাই আমরা একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গে বাঁচব।’