লন্ডনে তিন দিনের বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব

ফেস্টিভ্যালে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন বাংলাদেশি নির্মাতা নোমান রবিন। (ছবি কৃতজ্ঞতা: স্টিভ ডেজকো)
ফেস্টিভ্যালে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন বাংলাদেশি নির্মাতা নোমান রবিন। (ছবি কৃতজ্ঞতা: স্টিভ ডেজকো)

লন্ডনে চলছে তিনদিনব্যাপী বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের রিচমিক্স সেন্টারে ‘লন্ডন বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক এই উৎসবের সূচনা হয়। এতে বাংলাদেশ ও কলকাতার মোট চারটি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।

লন্ডন বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এটি চতুর্থ আয়োজন। উৎসবের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশি প্রামাণ্যচিত্র ‘ব্লোসম ফ্রম অ্যাশ’। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবেতর জীবনের গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রটি। এটি প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী ছিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘ব্লোসম ফ্রম অ্যাশ’ এর লেখক ও পরিচালক নোমান রবিন।

প্রায় দেড় ঘণ্টার এ প্রামাণ্যচিত্রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান দুঃসহ জীবনের বাস্তবতা ‍তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্তমান মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদল, ভূ-রাজনীতি এবং রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বঞ্চনার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে এতে। প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন নোমান রবিন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় প্রদর্শিত হয়েছে ‘দ্য হি উইদাউট হিম’। এরপর বিকেল ৫ টায় প্রদর্শিত হয় ‘রেইনবো জেলি’। আগামীকাল উৎসবের শেষ দিনে প্রদর্শিত হবে কলকাতার দেয়ালি মুখার্জি পরিচালিত শর্টফিল্ম ‘তিন মুহূর্ত’।

লন্ডন বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিষ্ঠাতা মুনসুর আলী বলেন, বাঙালি অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম এবং তাদের বক্তব্য যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম পরিসরে তুলে ধরার লক্ষ্যে লন্ডন বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল যাত্রা শুরু করে। সাধারণত বাংলাদেশ কিংবা কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতারা যুক্তরাজ্যের দর্শকদের কাছে তাঁদের কাজগুলো উপস্থাপনের সুযোগ পান না। লন্ডন বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তাঁদের জন্য সেই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার জুলকার নাইন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সর্বোচ্চ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের সেক্রেটারি জন গারউড, স্থানীয় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আয়াস মিয়া।