নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৩

তেনজিং হিলারি বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় পার্কিংয়ে থাকা একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উড়োজাহাজটির। ছবি: রয়টার্স
তেনজিং হিলারি বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় পার্কিংয়ে থাকা একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উড়োজাহাজটির। ছবি: রয়টার্স

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার তেনজিং হিলারি বিমানবন্দরে একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের সময় পার্কিংয়ে থাকা একটি হেলিকপ্টারকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এভারেস্ট-সংলগ্ন পার্বত্য এলাকা লুকলায় ঘটা এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরটির এক কর্মকর্তা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের এই তেনজিং হিলারি বিমানবন্দর বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে এই বিমানবন্দর দুর্ঘটনার জন্যও বিখ্যাত, যার সর্বশেষটি হলো আজ রোববার। এ দিন বেসরকারি এয়ারলাইনস সামিট এয়ারের একটি টুইন ওটার উড়োজাহাজের সঙ্গে বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে থাকা হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ দুর্ঘটনার সুস্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তা প্রতাপ বাবু তিওয়ারি জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে উড়োজাহাজটির কো-পাইলটও রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। পরে আরেকজন কাঠমান্ডুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের অন্য দুজন নিরাপত্তাকর্মী, যাঁরা দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারটির কাছে ছিলেন। আহত হয়েছেন উড়োজাহাজটির পাইলট।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। এর মধ্যে তেনজিং হিলারি বিমানবন্দরটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর একটি। প্রথম এভারেস্টজয়ী দুই কিংবদন্তি স্যার এডমন্ড হিলারি ও শেরপা তেনজিং নোরগের নামে নামকরণ করা এই বিমানবন্দরের রানওয়ে খুবই ছোট। আর এই ছোট রানওয়েই একে বিপজ্জনক করে তুলেছে। শুধু এখানেই নয়, পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এবং আবহাওয়া কখনো কখনো অত্যন্ত প্রতিকূল হওয়ায় নেপালকে প্রায়ই বড় বড় দুর্ঘটনা দেখতে হয়। গত ফেব্রুয়ারিতেই বাজে আবহাওয়ার কারণে নেপালের পূর্বাঞ্চলে সাতজন আরোহীসহ একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন নেপালের পর্যটনমন্ত্রীও।