শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু হতাহত

বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। ছবি: টুইটার
বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। ছবি: টুইটার

শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত দুই শতাধিক। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আজ রোববার সকালে ইস্টার সানডের আয়োজন ঘিরে রাজধানী কলম্বো ও তার পাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। দেশটির পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

বিস্ফোরণে বহু লোকের হতাহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালক।

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের ধরন এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ইস্টার সানডের আয়োজনকে লক্ষ্যবস্তু করে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কলম্বোর জাতীয় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অনেকেই হাসপাতালে আসছেন।’

পুলিশ বলছে, রাজধানী কলম্বোর বাইরে উত্তর দিকের নেগোম্বো শহরের দুটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটেছে।

নেগোম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ানস গির্জার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আমাদের গির্জায় একটি বোমা হামলা হয়েছে। আপনাদের পরিবারের সদস্যদের কেউ থাকলে দ্রুত এসে সাহায্য করুন।’

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।

শ্রীলঙ্কার কলম্বোপেজ ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইস্টার সানডেতে দুটি ক্যাথলিক গির্জায় হামলা চালানো হয়। একটি সেন্ট অ্যান্থনিস চার্চ, আরেকটি সেন্ট সেবাস্টিয়ানস চার্চ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইস্টার সানডে উদ্‌যাপনের সময় এই ‘সিরিজ’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। একাধিক গির্জা ও হোটেলে কমপক্ষে ছয়টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য খুবই আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ইস্টার সানডে। এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান করেছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছবি: টুইটার
শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি গির্জা ও হোটেলে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছবি: টুইটার

পুলিশের বরাতে আরটিআর ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, কয়েকটি বড় হোটেলের পাশাপাশি কলম্বোর বাইরের কয়েকটি গির্জাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।

সেন্ট অ্যান্থনির একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ‘আমাদের লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছেন।’

উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তি বলেন, বিস্ফোরণের সময় আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। অনেককে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।