হামলার ২ ঘণ্টা আগে শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল ভারত

সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পিঠে ব্যাগ বহন করে নেগম্বোর রাস্তায় হাঁটছেন। ছবি: রয়টার্স
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পিঠে ব্যাগ বহন করে নেগম্বোর রাস্তায় হাঁটছেন। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক করেছিল ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী।

ভারত সরকারের এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে শ্রীলঙ্কাকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কাকে ৪ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল দুই দিন সতর্ক করা হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ না করে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তার বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাঁদের পদমর্যাদার শ্রীলঙ্কান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই হামলার পূর্ব সতর্কবার্তা জানায়।

অপর একজন শ্রীলঙ্কান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রথম হামলার ঘণ্টাখানেক আগে একটি সতর্কবার্তা এসেছিল। আবার আরেক কর্মকর্তা জানান, হামলার আগের দিন শনিবার রাতেই সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল ভারত।

তবে হামলার দিনই শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা জানিয়েছিলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ১০ দিন আগেই সতর্ক করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো সতর্কবার্তা কাজে আসেনি।

দায় স্বীকার আইএসের
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। মঙ্গলবার আইএসের মুখপাত্র আমাক থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি আইএস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আইএসের হামলার দায় স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল, শ্রীলঙ্কায় হামলার ধরনের সঙ্গে আইএসের হামলার ধরনের মিল রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালেই পার্লামেন্টে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজেবর্ধনে দাবি করেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় একের পর এক বোমা হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কান দুটি ইসলামিক গ্রুপ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত রোববার ইস্টার সানডেতে প্রার্থনারত অবস্থায় তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে একের পর এক বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর আরও দুই জায়গায় হামলা হয়। এ হামলায় ৩২১ জন নিহত ও ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি।