ডুবে যাওয়া সোনাদানার 'গল্প' শুনিয়ে কারাগারে

দিমিত্রি দনসকোই নামের ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল শিনিল গ্রুপ। এই ছবিটিকে ডুবে যাওয়া রুশ জাহাজের অংশবিশেষ বলে দাবি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
দিমিত্রি দনসকোই নামের ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল শিনিল গ্রুপ। এই ছবিটিকে ডুবে যাওয়া রুশ জাহাজের অংশবিশেষ বলে দাবি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

১৯০৫ সালের কথা। ওই বছর ডুবে গিয়েছিল রুশ জাহাজ ‘দিমিত্রি দনসকোই’। কথিত আছে, ওই জাহাজে নাকি ছিল শত শত কোটি ডলারের সোনাদানা। সেই থেকে শুরু। সোনাদানা পাওয়ার লোভে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিমিত্রি দনসকোই উদ্ধারে চলেছে নানা তৎপরতা। এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ কোরিয়ায় তিন ব্যক্তির কারাদণ্ড হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দিমিত্রি দনসকোই নামের ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি। ‘শিনিল গ্রুপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তাঁরা। শিনিল গ্রুপ গত জুলাইয়ে ঘোষণা দেয় যে রুশ জাহাজ দিমিত্রি দনসকোই খুঁজে পাওয়া গেছে। এই ঘোষণা দিয়ে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে মোট ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ওন সংগ্রহ করে শিনিল গ্রুপ। এর কিছুদিন পরই রটে যায়, অর্থ সংগ্রহের এই ঘটনা জালিয়াতি হতে পারে।

শিনিল গ্রুপ দাবি করেছিল, দিমিত্রি দনসকোই জাহাজে নাকি ২০০ টনেরও বেশি সোনাদানা আছে। পরে ঘটনা আদালতে গড়ায়। সম্প্রতি সিউলের একটি আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে শিনিল গ্রুপের এই দাবি মিথ্যা। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির একজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শিনিল গ্রুপের সাবেক প্রধান ও আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে যথাক্রমে দুই ও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালতের বিচারক চৌই ইয়ো-মি বলেন, ‘অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই কাজ করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তাঁরা।’

রাশিয়া ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের সময় ডুবে গিয়েছিল দিমিত্রি দনসকোই। এই জাহাজে কোটি কোটি ডলারের সোনা আছে বলে কথিত আছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই জাহাজে এত বিপুল পরিমাণ সোনাদানা থাকার কথা জল্পনা ছাড়া অন্য কিছু নয়।