অবিশ্বাস্য রকমের মিথ্যাবাদী মোদি!

হিন্দিভাষী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া
হিন্দিভাষী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া

ভারতে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেটসেবা চালু হয় ১৯৯৫ সালে। অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি ১৯৮৮ সালের দিকেই ই-মেইল ব্যবহার করতেন। গত শনিবার হিন্দিভাষী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কুইন্টের খবরে বলা হয়, মোদির সাক্ষাৎকারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। টুইটারে মোদিকে একেবারে ধুয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমালোচকদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন।

কেউ কেউ মোদিকে আখ্যায়িত করেছেন অবিশ্বাস্য রকমের মিথ্যাবাদী বলে। আবার কেউ বলছেন জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন তিনি।

জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আর বিশ্বাস করা যায় না বলেও মন্তব্য এসেছে।

অর্থনীতিবিদ রুপা সুব্রামানিয়া টুইটারে লিখেছেন, ওই সময় এমনকি পশ্চিমেও কিছু লোক ই-মেইল ব্যবহার করতেন। অথচ, ১৯৯৫ সালে ভারতে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট সেবা চালুর আগে ১৯৮৮ সালেই মোদি কোনো-না-কোনোভাবে ইমেইল ব্যবহার করতেন!

রাজনৈতিক ভাষ্যকার সালমান এ সজ বলেছেন, মোদির এই অসমীচীন বক্তব্য ভারতের জন্য অন্তত লজ্জাজনক।

অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেন (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা আর বিশ্বাস করা সম্ভব হবে না।

পণ্ডিত অশোক সোয়ান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বলেছেন, মোদি গুরুতর অসুখে ভুগছেন। তাঁর যথাযথ চিকিৎসা দরকার।

বটমলাইনসম্যান নামের এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, এই মানুষটি (মোদি) অবিশ্বাস্য মিথ্যাবাদী। ১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা! ১৯৮৮ সালে মুম্বাইয়ে ই-মেইল করেছিলেন! যা মনে আসছে তাই বলছেন।

অনেকে প্রশ্ন করেন, সাধারণ ঘরে জন্ম নিয়েও মোদি কীভাবে ব্যয়বহুল প্রযুক্তির অধিকারী হয়েছিলেন?

গত শনিবার হিন্দিভাষী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, সম্ভবত ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে ভিরামাগাম তেহসিলে একটি স্থানীয় র‍্যালিতে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা এলকে আদভানি। সেখানে ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে আদভানির ছবি তুলেছিলেন তিনি। সেই ছবি আবার ই-মেইলে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর টুইটারে সমালোচনার ঝড় ওঠে।