ভোট গণনাকে ঘিরে উত্তর-পূর্ব ভারতে টান টান উত্তেজনা

রাত পোহালেই ভোট গণনা। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে কাল বৃহস্পতিবার। আর এই ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা গোটা ভারতের মতো উত্তর–পূর্ব ভারতেও। লোকসভার পাশাপাশি এদিনই জানা যাবে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের রাজ্যের শাসনভার কার হাতে থাকবে।

উত্তর–পূর্ব ভারতে ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয় তৃতীয় দফায় গত ২৩ এপ্রিল। তবে পশ্চিম ত্রিপুরার ১ হাজার ৬৭৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৬৮টিতে ফের ভোট হয়েছে ১২ মে। গত ১১ এপ্রিল ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই ফের ভোট হয়। তবে এতেও স্বস্তি নেই। উচ্চ আদালতে বিরোধীরা মামলা করেছেন।

এই ১৬৮টি কেন্দ্র বাদ দিলে বাকি ২৪টি লোকসভা আসনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্ট্রং রুমে তিন স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। ১২ মে থেকে ১৬৮ কেন্দ্রের ইভিএমও রয়েছে স্ট্রং রুমে।

কাল সকালে ভোটপ্রার্থীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খোলা হবে স্ট্রং রুম। তারপর কেন্দ্রে চলবে ভোট গণনা। পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে ভিডিও ক্যামেরার সামনে।

ভোট গণনায় প্রত্যেক প্রার্থীর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি থাকবেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরা। তৃণমূল স্তরের পর্যবেক্ষকেরাও থাকবেন।

উত্তর–পূর্ব ভারতে মোট আসন ২৫টি । গতবার কংগ্রেস ও বিজেপি আটটি করে আসন পায়। বাকি আসনগুলোর মধ্যে দুটি পায় সিপিএম। সাতটি আসন দখল করে স্থানীয় বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরা।

এবার মূল লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির। তবে আসামে বিজেপি দুটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে লড়ছে। ত্রিপুরাসহ বাকি রাজ্যগুলোয় জোট সরকার থাকলেও নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি বিজেপি।

বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, এবার ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলগুলো ভালো ফল করবে। তবে গণনা শেষ হওয়ার আগে হতাশ হতে রাজি নন কংগ্রেস নেতারাও।

আসামের বিজেপি রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাসের দাবি, উত্তর–পূর্ব ভারতে বিজেপি জোট কমপক্ষে ২১টি আসন পাবে। আসামেই ১৪টির মধ্যে ১৩টি আসনে জয় নিশ্চিত বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন রঞ্জিত।

অন্যদিকে, কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘ভোটে হার নিশ্চিত জেনে প্রলাপ বকছে বিজেপি।’ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি গোপাল রায় প্রথম আলোকে বলেন, গোটা দেশের মতো, উত্তর–পূর্ব ভারতেও ক্লিন সুইপ করবে কংগ্রেস। এক্সিট পোলের নামে প্রলাপ বকছে বিজেপি ও কিছু মিডিয়া।