পশ্চিমবঙ্গে ভোট গুনতে যত আয়োজন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোট গণনা শুরু হবে কাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে। বেলা ১১টার মধ্যেই জানা যাবে ফলাফলের গতিপ্রকৃতি। দেশের অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ভোট গণনা হবে। এ ভোট গুনতে থাকছেন ২৫ হাজার ভোট কর্মী, ১৫৫ পর্যবেক্ষক।

গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচন।

কাল অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনেরও ভোট গণনা শুরু হবে সকাল ৮টায়। সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে ভোট গণনাকারীদের পৌঁছাতে হবে গণনাকেন্দ্রে। গণনাকেন্দ্রে বলবৎ থাকবে ১৪৪ ধারা। এদিন ৪২টি লোকসভার আসন ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেরও ফলাফল গণনা হবে পৃথক গণনাকেন্দ্রে।

ভোট গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকছে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আরও থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ। গণনাকেন্দ্রে থাকবেন ১৫৫ জন পর্যবেক্ষক। এর মধ্যে ১৪৭ থাকবেন লোকসভার ভোট গণনার সঙ্গে। বাকি ৮জন থাকবেন বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোট গণনার জন্য।

পশ্চিমবঙ্গের ভোট গণনা হবে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। ৪২টি লোকসভার জন্য গণনাকেন্দ্র থাকছে ৫৮টি। এবার এই ৪২ আসনের লোকসভার ভোট গ্রহণের জন্য ছিল ৭৮ হাজার ৭৯৯টি বুথ। গণনাকেন্দ্রে গণনার জন্য থাকছে ৩৭৯টি হল। আর এসব হলে ভোট গণনার জন্য থাকছে ৪ হাজার ৬৬৮টি টেবিল। গণনা কেন্দ্রে থাকবে সিসি টিভি এবং ভিডিওর ব্যবস্থা। পোস্টাল ব্যালট দিয়ে শুরু হবে গণনার কাজ। থাকবে গণনাকেন্দ্রে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

প্রতিটি হলের ভোট গণনার টেবিল ঘেরা থাকবে নেট (জাল) দিয়ে। থাকবেন গণনাকেন্দ্রে কাউন্টিং সুপারভাইজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার ও পর্যবেক্ষক। গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকবে।

সকাল সাড়ে ৭টায় ইভিএম রাখা স্ট্রং রুম খোলা হবে প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি , রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পর্যবেক্ষকদের সামনে। চিত্রসাংবাদিকেরা ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের ছবি তুলতে পারবেন না। সাংবাদিকদের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট জায়গা। সেখানে সাংবাদিকেরা অবশ্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গণনা টেবিলে কাছে কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। আর এই গণনাকেন্দ্রের বাইরে থাকবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট। গণনার পর প্রত্যেক রাউন্ডের ফলাফল জানিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন। গণনাকেন্দ্রে ১০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ২৫ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হবে।