সরকার গঠনে ব্যর্থ নেতানিয়াহু, নতুন নির্বাচন সেপ্টেম্বরে

ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর জোটগঠনে ব্যর্থ হওয়া ঘটনা এটাই প্রথম। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর জোটগঠনে ব্যর্থ হওয়া ঘটনা এটাই প্রথম। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রীর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পঞ্চমবারে এসে জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে দেশটির আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে দেশটিতে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ইসরায়েলে পুনর্নির্বাচন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ।

এর আগে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ইসরায়েলের কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এতে করে ক্ষমতায় থাকতে গেলে নেতানিয়াহুকে বুধবারের মধ্যে অন্য দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে হতো। তবে দক্ষিণপন্থী দলেগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় না পৌঁছানোর কারণেই এমন সংকটে পড়েছে নেতানিয়াহু।

তবে এ সংকটের গোড়ায় ছিল একটি সামরিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিল, যেটার মাধ্যমে অতি-গোড়াপন্থী ইহুদি শিক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর জোটগঠনে ব্যর্থ হওয়া ঘটনা এটাই প্রথম ঘটনা।

নেতানিয়াহুর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে–বিপক্ষে ৭৪-৪৫ ভোট পড়ে।

গত এপ্রিলের নির্বাচনে নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি ১২০ আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন পেয়েছিল। তবে সরকার পঠনের জন্য ৬১টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল। ইসরায়েলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো দলই এই সংখ্যক আসন পাইনি। ফলে নেতানিয়াহুর সরকার গঠনে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এ জন্য তিনি আলোচনাও শুরু করেছিলেন। তবে ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদো লিবারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন নেতানিয়াহু। এতেই ভেস্তে যায় জোট সরকার গঠনের প্রচেষ্টা।

অতি-গোড়াপন্থী ইহুদি দলগুলোর সামরিক পরিকল্পনায় ছাড় দেওয়ার শর্তে লিবারম্যান তাদের সঙ্গে জোট গঠনে সম্মত হয়েছিলেন।

ফের নির্বাচনে হওয়ার বিষয়ে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা এবার স্বচ্ছ ও নিবিড় নির্বাচনী প্রচারণা মাধ্যমে জয় সুনিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে তারা জিতবে, এতে করে ইসরায়েলের জনগণ জিতবে।