দুই প্রতিমন্ত্রী পাওয়ায় অখুশি পশ্চিমবঙ্গ

বাবুল ও দেবশ্রী
বাবুল ও দেবশ্রী

দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভায় নরেন্দ্র মোদি ঠাঁই দিয়েছেন ৫৮ জনকে। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে মোদির দল বিজেপি সদ্য লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এবারই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পায়। তবে এবার এ রাজ্য থেকে মোদি কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করেননি। দুজন মাত্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে বিজেপি ও রাজ্যবাসী হতাশ।

ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জোট নিরঙ্কুশ জয় পায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোর কোর্টে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ৫৮ জনের মন্ত্রিসভায় ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বের প্রতিমন্ত্রী এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।

মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করায় খুশি হতে পারেনি বিজেপির নেতৃত্ব ও রাজ্যবাসী। সবারই ধারণা ছিল, এবার বিজেপির এই রাজ্যে ব্যাপক সাফল্যের পর অন্তত চার থেকে পাঁচজন মন্ত্রিত্ব পাবেন। এমনকি ইঙ্গিত ছিল দু-একজন পূর্ণ মন্ত্রিত্বও পেতে পারেন। তবে আশা পূরণ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হতাশ। রাজ্যবাসীও অখুশি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে দুজনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে তাঁরা হলেন পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসনের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

দেবশ্রী চৌধুরী বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। তিনি এই প্রথম সাংসদ হলেন। একই সঙ্গে এলেন মন্ত্রিসভায়। দেবশ্রী এবার রায়গঞ্জ আসনের দুই প্রভাবশালী প্রার্থী সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ও কংগ্রেসের দীপা দাসমুন্সীকে পরাজিত করে আলোচনায় আসেন। গতবারের কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবারও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় সুচিত্রা সেনের কন্যা মুনমুন সেনকে পরাজিত করে জয়ী হন।

এবারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার তালিকায় আরও যাঁদের নাম উঠে এসেছিল তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে জয়ী সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, বাঁকুড়ার সাংসদ চিকিৎসক সুভাষ সরকার। আর আদিবাসী মুখ হিসেবে উঠে এসেছিল জন বারলা ও কুণার হেমব্রমের নাম। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে বিজেপি নেতৃত্ব এবারের মন্ত্রিসভায় মাত্র দুজনকে ঠাঁই দিয়েছে। তা–ও আবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। ফলে চাপা অসন্তোষ রয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতাদের মধ্যে।