যেখানে কুকুরও পরে মাস্ক

বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে লোকে নাক-মুখ ঢাকে মাস্ক বা মুখোশে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বায়ুদূষণের পরিস্থিতি এখন এতই খারাপ যে ইদানীং পোষা কুকুরকেও সেখানে মাস্ক পরানোর চল শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ওইসিডির এক তথ্য অনুসারে, উন্নত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। নিজেদের স্বাস্থ্যের চিন্তার পাশাপাশি তাই পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য নিয়ে এখন উদ্বেগে রয়েছেন দেশটির অনেকে।

রাজধানী সিউলে বসবাসকারী নারী চোই ইও-জিন তাঁদেরই একজন। জাপানি শিবা প্রজাতির একটি কুকুর পোষেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় বেরোলেই দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে আমি মুখে মাস্ক পরি। তবে আমার পোষা কুকুরটির মাস্ক থাকত না বলে আমার খারাপ লাগত ওর জন্য। এরপর আমি অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করে জানলাম, বায়ুদূষণ কুকুরের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। দূষণ থেকে বাঁচতে তাদেরও মাস্ক প্রয়োজন।’

>

উন্নত দেশের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে ভয়াবহ
বায়ুদূষণ কুকুরের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে
নিজেদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে দেশটির অনেকে

চোই-এর মতো সিউলের অনেকেই কুকুর মালিকই একসময় চিন্তা করলেন, ভয়াবহ বায়ুদূষণ থেকে বাঁচাতে কুকুরকেও মাস্ক পরাবেন তাঁরা। ইওন ওন-গিয়ুং এমনই আরেক নারী। ইউরোপীয় পুডল প্রজাতির একটি কুকুর রয়েছে তাঁর। ইওন বলেন, কখনো কখনো টানা কয়েক দিন সিউলের বাতাস ধোঁয়া-ধুলায় ভারী হয়ে থাকে। বাইরে হাঁটতে বের হওয়ারও পরিস্থিতি থাকে না তখন। তবে আমার পোষা কুকুর এত দিন ঘরে বসে থাকতে চায় না। তাই আমি ওকে মাস্ক পরিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হই।’

সিউলের এক পশুচিকিৎসক বলেন, মানুষের চেয়ে পোষা প্রাণীদেরই দূষণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বেশি সমস্যা হয়। তবে সমস্যা হলো, কুকুর মাস্ক পছন্দ করে খুব কমই। চোই ইও-জিন বলেন, দূষিত বায়ু থেকে রক্ষা পেতে কুকুরের উপযোগী অন্য কোনো ব্যবস্থা আসা উচিত বাজারে।