চীনের সঙ্গে চুক্তি চান ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিং পিংয়ের মধ্যে আজ বৈঠক হবে। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিং পিংয়ের মধ্যে আজ বৈঠক হবে। ছবি: রয়টার্স

চীনের সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি করার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, ন্যায্য চুক্তির জন্য খোলামনে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। চীনের প্রেসিডেন্ট সি পিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক আজ হতে যাচ্ছে। দুই শীর্ষ নেতা জি–২০ সম্মেলনের জন্য এখন জাপানের ওসাকায় অবস্থান করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িত দেশ দুটির বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত চুক্তির দিকে গড়ায় কি না, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব।

আজ বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক ফোরাম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন গতকাল শুক্রবার ওসাকায় শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এবারের বৈঠকটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যলড়াই ও সংকট সমাধানের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবারের সম্মেলনটি শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এ দুটি দেশের বাণিজ্যিক প্রভাব রয়েছে। তাই আজ দুই দেশের বৈঠককে ঘিরে আগ্রহ রয়েছে বিশ্বব্যাপী।

ট্রাম্পের কথায় বৈঠকটিকে ঘিরে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘বৈঠকটি ঐতিহাসিক হতে পারে, যদি আমরা ন্যায্য কোনো বাণিজ্য চুক্তি করতে পারি...আমরা এর জন্য খোলাখুলি প্রস্তুত।’

দুই দেশ একে অন্যের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের পর এই বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক সুরে কথা বলেছেন সি চিন পিংও। তিনি বলেছেন, মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে ‘সংলাপ’ ভালো।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি একটি ‘কার্যকর’ বৈঠকের আশা করছেন। সেই সঙ্গে এটা বলেও সতর্ক করেন যে বৈঠক থেকে চুক্তি হওয়ার কোনো সুখবর না পেলে তিনি চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াবেন।

ট্রাম্প আগেই নিশ্চিত করেছিলেন যে তাঁদের মধ্যে চীনের টেলিকম প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে নিয়ে আলোচনা হবে। নিরাপত্তা ইস্যুতে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে নিষিদ্ধ করেছে। বাণিজ্যযুদ্ধের সাময়িক বিরতির অংশ হিসেবে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে চীন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্যযুদ্ধের সাময়িক বিরতি ও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে দুই দেশের একমত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ায় প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে হয়েছে, দুই পক্ষের বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে এবং সংকটের বিষয়গুলোকে সঠিক পথে আনার লক্ষ্যে একটি নতুন ভিত্তি খুঁজে পেতে বৈঠকটি একটি অনন্য সুযোগ হতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলা হয়, চীনের সঙ্গে সমান পদক্ষেপে তাল মিলিয়ে চলতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে এবং চীনের বৈধ উদ্বেগের বিষয়গুলো মেনে নিতে হবে।