নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র জমা শুরু

নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র জমাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার শুরু হওয়া ওই কর্মসূচির আওতায় বেশ কিছু মানুষ তাঁদের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলার পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া একটি প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের লিনউড ও আল-নূর মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ব্রেন্টন টারান্ট। ওই হামলার পর নিউজিল্যান্ডের সরকার সব ধরনের আধা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করে। আর ওই নিষিদ্ধ অস্ত্র জমার বিনিময়ে জনগণকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্ত্র ফেরত প্রকল্প (গান বাইব্যাক স্কিম) গ্রহণ করা হয়। ওই অস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয় সেখানে হামলা হয়েছিল, সেই ক্রাইস্টচার্চে। সেখানে ২৫০টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়।

নিউজিল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী স্টুয়ার্ট নাশ বলেন, এই অস্ত্র সংগ্রহের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো, ছড়িয়ে পড়া অধিক বিপজ্জনক আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণ করা।

আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার মাইক জনসন বলেন, ক্যান্টারবেরি অঞ্চলের ৯০৩ জন অস্ত্রের মালিক তাঁদের ১ হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তরের জন্য নিবন্ধন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারী সম্প্রদায়ের জন্য আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে এটা (অস্ত্র ফেরত প্রকল্প) একটি বড় পরিবর্তন বলে পুলিশ স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা জনগণের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়াও পাচ্ছি। অনেকে কষ্ট করে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের অস্ত্র জমা দিচ্ছেন।’

কানাডা থেকে নিউজিল্যান্ডে এসে বসবাসকারী রয় বার্য়ার্ড আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ রকম অস্ত্র কানাডার সেনাবাহিনী অথবা কানাডায় বন্দুক হামলাকারীদের হাতে দেখেছিলাম। আধুনিক সমাজে সামরিক বাহিনীর মতো আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই।’

টারান্ট সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে হামলা চালান। তাঁর বিরুদ্ধে ৫১টি হত্যার অভিযোগ এবং ৪০টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে টারান্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। তথ্যসূত্র: এএফপি ও বিবিসি