হরমুজ প্রণালি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

বিশ্বের এক–পঞ্চমাংশ তেল হরমুজ প্রণালি হয়ে সারা বিশ্বে সরবরাহ হয়ে থাকে। ছবি: রয়টার্সের ফাইল ছবি।
বিশ্বের এক–পঞ্চমাংশ তেল হরমুজ প্রণালি হয়ে সারা বিশ্বে সরবরাহ হয়ে থাকে। ছবি: রয়টার্সের ফাইল ছবি।

হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে তারা বিশেষ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে আগামীকাল শুক্রবার হরমুজ প্রণালিসংক্রান্ত তাদের নতুন উদ্যোগের কথা জানাবে। গতকাল বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন পদক্ষেপের কথা জানায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বের এক–পঞ্চমাংশ তেল হরমুজ প্রণালি হয়ে সারা বিশ্বে সরবরাহ হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে এ প্রণালি দিয়ে মুক্তভাবে নৌযান চলাচলের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৈশ্বিক এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বহুজাতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র বিভাগের পরিচালনায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হবে না।

এর আগে ১৪ জুলাই হরমুজ প্রণালি থেকে ‘এমটি রিয়াহ’ নামের একটি ট্যাংকার ট্র্যাকিং ম্যাপ থেকে গায়েব হয়ে যায়। এর ট্রান্সপডার বন্ধ হয়ে গেলে জাহাজটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তেলবাহী ও ট্যাংকারটি ইরান জব্দ করেছে, নাকি তা যান্ত্রিক ত্রুটির পর উদ্ধার করা করেছে, তা নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো নিশ্চিত নন।

ইরান দাবি করেছে, জাহাজ থেকে উদ্ধারের জন্য বিশেষ সংকেত পেয়ে হরমুজ প্রণালি থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়। তেহরান ওই নৌযানের নাম প্রকাশ না করলেও তা ‘এমটি রিয়াহ’র গতিবিধির সঙ্গে মিলে যায়।

এর আগে সিরিয়াবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করায় যুক্তরাজ্যের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইরান। দেশটির প্রভাবশালী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ব্রিটিশ কর্মকাণ্ডকে ‘জলদস্যুতা’ বলে মন্তব্য করেন।

গত মে ও জুন মাসে উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলবাহী ছয়টি ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র; যদিও তেহরান সব সময় এই অভিযোগ নাকচ করে আসছে। এ বিষয় নিয়ে কথার লড়াই চলছে দুই পক্ষের মধ্যে।

গত ২০ জুন ইরান জানায়, আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় হরমুজ প্রণালিতে তারা গুলি করে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পরে বিষয়টি স্বীকারও করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা যেকোনো সময় যুদ্ধে রূপ নেওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।