৫০ হাজার রুপির মনোহারী চা আসামে

ছবি: সংগৃহীত।
ছবি: সংগৃহীত।

চায়ের ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য ৫০ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়েছে এক কেজি চা। আসামের রাজধানী গুয়াহাটির চায়ের নিলাম বাজারে গতকাল মঙ্গলবার মনোহারী সোনালি স্পেশালিটি চা নামের বিশেষ এই চা বিক্রি হয়।

চা–গাছের কুঁড়ি দিয়ে উৎপাদিত হয় মনোহারী চা। মে থেকে জুন মাসে ভোরবেলা কুঁড়ি তোলা হয়। অপ্রস্ফুটিত কুঁড়িগুলোকে বিশেষ পদ্ধতিতে স্প্রিং ব্লেন্ডিংয়ের মাধ্যমে এই চা তৈরি করা হয়। এই চা উৎপাদনে প্রচুর সময় ও শ্রম লাগে বলে সচরাচর তা উৎপাদন করা হয় না। মনোহারী চা–বাগানে এ বছর মনোহারী চা উৎপাদিত হয়েছে মাত্র পাঁচ কেজি।

গুয়াহাটির চা নিলাম কেন্দ্রের সম্পাদক দীনেশ বিহানি বলেছেন, ‘এ নিলাম বাজারে এই প্রথম চায়ের এত দাম উঠেছে। চা বিক্রির ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ মূল্য।’ সৌরভ টি ট্রেডার্সের মাঞ্জিলাল মহেশ্বরী গতকাল এই নিলাম থেকে দুই কেজি চা কেনেন। মনোহারী চা অবশ্য ‘অর্থোডক্স’ চা বলে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত।
ছবি: সংগৃহীত।

গত বছর এই চা প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ৩৯ হাজার রুপিতে। তবে গতবারের এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের ‘গোল্ডেন নিডল চা’। এটি উৎপাদিত হয়েছিল ডনি পোলো চা–বাগানে। সেই চা প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার রুপিতে। আর এবার গুয়াহাটিতে আসামের মনোহারী সোনালি স্পেশালিটি চা প্রতিকেজি বিক্রি হলো ৫০ হাজার রুপিতে।

মনোহারী চা–বাগানের মালিক রাজেন লোহিয়া বলেছেন, এবার এই চা উৎপাদনের অনুকূল আবহাওয়া না থাকায় মাত্র ৫ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

আসাম চা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাত কমল বেজবরুয়া বলেছেন, হাতে তৈরি চা উৎপাদন এখন ধীরে ধীরে কমছে। মনোহারী চা যেভাবে দাম পাচ্ছে, তাতে চা–বাগানের মালিকেরা এই চা উৎপাদনে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।