লাদাখে ১৪৪ ধারা, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর থেকে কারগিলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে।
১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর থেকে কারগিলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে।

ভারতের সদ্যঘোষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের কারগিল, দ্রাস ও সাঙ্কো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে কারগিলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটায় জারি হওয়া এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

কারগিলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৪৪ ধারার অধীনে কোনো স্থানে চারজন বা এর বেশি মানুষের জমায়েত হলেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওই তিন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

সংবিধানের ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ওই রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল। তাদের আলাদা পতাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ছিল সংবিধান। কালে কালে সব হারিয়ে অবশিষ্ট ছিল সাংবিধানিক ধারা ও কিছু বিশেষ ক্ষমতা। এবার তা–ও গেল। সরকারি প্রস্তাব বিল আকারে পেশও করা হয়েছে। এ সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে মোদির সরকার বাতিল করে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা গত সোমবার বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে বাতিল হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। তবে তার বিধানসভা থাকবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিচালিত করবেন দুই লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এরপর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে উত্তাল হয়ে আছে ভারত, পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক মহল।

কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কাশ্মীরিরা যাতে বিক্ষোভ করতে না পারে, সে জন্য গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাশ্মীরে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।